নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ প্রশাসনকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘সাজানোর’ অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ প্রশাসনের দলবাজ হোমরা-চোমরা অফিসাররা আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বিয়াম ভবনসহ এখানে-সেখানে ভোট ডাকাতির কলা-কৌশল ও মাঠ সাজােেনা নিয়ে ?গুপ্ত বৈঠক শুরু করেছেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার প্যাকেজ খরচ হিসেবে ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে ১৫৮ কোটি টাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনাকাটায় ব্যয় হবে। সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ঠেকাতে ৫৪০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি ক্রয়ের প্রস্তাব রয়েছে তাদের বাজেটে। তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জামাদি, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার কিনতে মোট ব্যয় হবে ২০ কোটি টাকা। সর্বশেষ ৮ নম্বর খাতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক কর্মসূচি বৃদ্ধির ফলে পুলিশের গতিও বাড়াতে হবে।’
নির্বাচন সামনে রেখে ‘দলীয় পরিচয়ে দেখে’ পুলিশের পদায়ন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। কারামুক্ত হওয়ার পর এদিনই প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসেন রিজভী।
নিজের কারাবাসের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়ে বেশ কয়েক মাস কারাগারে কাটাতে হয়েছে আমাকে। অন্যায়ভাবে বন্দি হাজার হাজার মানুষ কারামুক্তির প্রহর গুনছে, একইভাবে কোটি কোটি গণতন্ত্রকামী মানুষ দেশে রচিত বৃহত্তর কারাগারে ক্ষমতাসীনদের মিথ্যাচার-অনাচার আর গণতন্ত্রহীন অন্ধকার থেকে মুক্তি চাইছে।’
কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন পৌর বিএনপির পরিচিতি সভায় ‘পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার’ নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার দাবি করেন রিজভী।
অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিরুল ইসলাম খান আলিম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।