নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ‘সাংবিধানিকভাবে’ সংসদ নির্বাচন করছে; কোন দেশ কী নিষেধাজ্ঞা আনতে পারে, তা নিয়ে সরকারের ‘মাথাব্যথা’ নেই।
গতকাল বুধবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশি শ্রম অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তারকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের করা মন্তব্য এবং নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা কারও চিন্তাভাবনা নেতিবাচকভাবে নিচ্ছি না। এই কথাটা নিয়ে আমাদের অতটা মাথাব্যথাও নেই।’
তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণ কী? আমরা একটা স্বাধীন দেশ। আমাদের সংবিধান আছে, আমাদের ইলেকশন আমাদের সংবিধান অনুযায়ী হবে। কারও ইচ্ছায় তো আমাদের নির্বাচন হবে না। আমাদের ইচ্ছায় আমাদের নির্বাচন হবে।’
শ্রম অধিকার হরণ করে এমন কার্যক্রমের জন্য বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি শ্রম অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তারের উদাহরণ টেনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, এ ধরনের কর্মীদের পাশে থাকবে তার দেশ।
রাষ্ট্রপতির কাছে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পুনঃতফসিলের আহ্বান নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, নির্বাচনে বিষয়টা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। সময়সীমা কিন্তু আছে, ওই সময় ঠিক রেখে তারা যা অ্যাডজাস্টমেন্ট করে, সেটা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।”
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগের ফরম বেচাকেনা কার্যক্রম শেষ হলেও সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচিতে রয়েছে বিএনপি। এ পরস্থিতিতে সরকার ফের ‘একতরফা’ নির্বাচনে যাচ্ছে কি নাÑজানতে চান একজন সাংবাদিক।
জবাবে কাদের বলেন, ‘বিএনপি না আসলেই একতরফা হবে? বাকি যে দলগুলো আছে তাদের আপনি উপেক্ষা করবেন? তারাও তো নির্বাচনের অংশ। গণতন্ত্রের অংশ।’
বিএনপি নির্বাচনে আসছে বা আসবে না বলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ‘অংশগ্রহণমূলক হবে না’Ñএমন ভাবনা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
কী ধরনের মানদণ্ডে নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবেÑজানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের জনমত জরিপে, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল আছে। কার কী অবস্থা সেই সেলের মাধ্যমেও তথ্য আসে। সবগুলো মিলিয়ে যার নম্বরটা বেশি, তাকেই মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হবে। গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই আমরা মনোনয়ন দেব।”
নির্বাচন কমিশনকে আইনগত কাঠামো দিয়ে ‘শক্তিশালী’ করার কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব প্রচেষ্টা নিয়েছে, তা আমরা কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন পর্যবেক্ষক টিমকে জানিয়েছি। যেমন আমরা নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করেছি।
‘আমরা (কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন পর্যবেক্ষক টিম) তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, পৃথিবীতে একটা দেশের নাম বলুন, যেটা গণতন্ত্রের দিক দিয়ে পারফেক্ট। তারা এটা বলতে পারেনি।’