এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সহায়তা চেয়েছে।
নেগেটিভ ইক্যুয়িটি কমাতে অর্থমন্ত্রাণলয়ের সহযোগীতা চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
একই সঙ্গে এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সদস্যবৃন্দের নিয়ে একটি সভা আহ্বানের জন্যও অনুরোধ করেছে বিএসইসি।
সম্প্রতি বিএসইসির পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবর কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে শেয়ারবাজারে সিকিউরিটিজের আকস্মিক দরপতন ও বিভিন্ন অস্বাভাবিক ঘটনার ফলে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন হিসেবে অনাদায়ী ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে এবং দীর্ঘদিন ধরে এটি নেগেটিভ ইক্যুইটি হিসাবে ক্যারি ফরওয়ার্ড হচ্ছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএসই এবং সিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬৭টি মার্জিন বিও হিসাব থেকে বিনিয়োগকারীদের মোট মার্জিন ঋণের পরিমাণ ১৮ হাজার ১২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
মার্জিন ঋণের মধ্যে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজগুলো ১১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা মার্জিন ঋণ দিয়েছে এবং তাদের নেগেটিভ ইক্যুইটি ৬ হাজার ৩৩৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। সিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মার্জিন ঋণের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএসইসির পক্ষ থেকে গত ২৭ মার্চ জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রভিশনিংয়ের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিএসইসি আশা করছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সহযোগিতায় তারা নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যা সমাধানে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।