Print Date & Time : 8 July 2025 Tuesday 7:59 pm

নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদন

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজার গতকাল বড় ধরনের পতনের কবলে পড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকের প্রায় ৪০ পয়েন্ট পতনের পাশাপাশি বাকি দুই সূচকও পতনে ছিল। লেনদেন কমার পাশাপাশি ৬০ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। টানা তিন দিন সূচকের উত্থানের পর গতকাল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেশি ছিল। যার কারণে লেনদেনের শুরুতেই সূচক নি¤œগতিতে চলে যায়। মাঝে একবার ওঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এছাড়া নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব তো রয়েছেই। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির যেসব প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলোও বিনিয়োগকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারছে না। যেমন গতকাল ৯ কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে পাঁচ কোম্পানির ইপিএস কমেছে। তিতাস গ্যাস, এসিআই লিমিটেড, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মতো বড় কোম্পানিগুলোর ইপিএস কমে যাওয়ায় বাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। যার কারণে বড় ধরনের দরপতন হয় পুঁজিবাজারে। ছোট-বড় সবগুলো খাতেই বেশিরভাগ কোম্পানি দরপতনে ছিল।
গতকাল সবচেয়ে বেশি ২০ শতাংশ বা ১০০ কোটি টাকা লেনদেন হয় বস্ত্র খাতে। তবে আগের দিনের তুলনায় এ খাতে লেনদেন কমেছে ২৩ কোটি টাকা বা চার শতাংশ। এ খাতে ৬৭ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে এমএল ডায়িং। এছাড়া স্টাইল ক্রাফট ও সায়হাম কটনও দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে।
নতুন তালিকাভুক্ত কাট্টলি টেক্সটাইলের প্রায় ২১ কোটি টাকা ও শাশা ডেনিমসের প্রায় ১১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপরে ১৫ শতাংশ লেনদেন হয় ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এ খাতে ৫৪ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। তবে লিবরা ইনফিউশন, অ্যাম্বি ফার্মা ও ফার্মা এইড দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। এর মধ্যে অ্যাম্বি ফার্মা গতকাল সবশেষ হিসাববছরের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। স্কয়ার ফার্মার ১৫ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতনে ছিল কোম্পানিটি। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৭৩ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। খুলনা পাওয়ারের ২১ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দর কমেছে দুই টাকা ৯০ পয়সা। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতের মুন্নু স্টাফলারের দর প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। বিবিএস কেবল্সের সাড়ে ১১ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর কমেছে তিন টাকা ৪০ পয়সা। বিবিধ খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে ৮৪ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। ২৭ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেও এসকে ট্রিমসের শেয়ারদর কমেছে তিন টাকা ৩০ পয়সা। গতকালও দরবৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে দুর্বল কোম্পানির দৌরাত্ম্য ছিল।