নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, হিমালয়কন্যা নেপাল। নানা বর্ণ, নানা ধর্ম ও নানা কৃষ্টির মানুষ সেখানে বসবাস করে। বাংলাদেশেও নানা বর্ণ, গোত্র ও কৃষ্টির মানুষ বসবাস করে। দুদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। নেপাল বিশ্বের সপ্তম দেশ, যারা স্বাধীনতা লাভের পর আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত-ভুটান-নেপাল একই সূত্রে গাঁথা, আমাদের এই বাংলাদেশও। অকৃত্রিম বন্ধু ও ভালোবাসার নিদর্শন আমাদের আজকের আয়োজন। গতকাল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নেপাল এম্বাসি, নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও বুক ক্লাব যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক বুক ক্লাবের সভাপতিকে উদ্দেশ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালসহ আরও অন্যান্য দেশের সঙ্গে কথা বলে যদি এ ধরনের আয়োজন করেন, তাহলে আমাদের সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হবে। এ সময় তিনি উপস্থিত অভিভাবকদের প্রতি সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রে সন্তানদের বিচরণ করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়ার আহ্বান জানান।
এসময় নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি বলেন, নেপাল-বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পার করেছে। ১৯৭২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের দুদেশের মাঝে সব দিক থেকেই সৌহার্দপূর্ণভাবে চলছে। সব দিক থেকেই আমাদের সম্পর্ক সহযোগিতার ভিত্তিতে বেড়ে উঠছে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বুক ক্লাবের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসউদ মান্নান এনডিসি, মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হাকিম আরিফসহ আরও অনেকে।
এর আগে সকালে ২১টি স্কুলের চারটি বিভাগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৭ প্রতিযোগীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ক বিভাগ থেকে বিজয়ীরা হলেনÑআরধ্য পরাল, জানান আল নাহিব, ইবনে বুহান, ফারহিমা মোস্তাক ও ঋষিত শীল দৃতি। খ বিভাগ থেকেÑরূপাইজাতুল চাওধা, শাফিন উদ্দিন আহমেদ, পারিজাত চন্দ, মিথিলা ভৌমিক ও মো. সাইফুল্লাহ সিয়াম। গ বিভাগ থেকেÑঅর্ণিলা ভৌমিক, আনিকা আজহার, সানজিদা তাবাসসুম, অনির্বাণ রায় ও রণবিজয় ধর।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বিভাগে শারমিন আক্তার ও সানজিদা ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সনদ প্রদান করা হয়।