নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৬৮

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর: বিবিসি।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে উদ্ধারকাজে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল রোববার সকালে পুরোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি রানওয়েতে ইয়েতি এয়ারলাইনসের ‘৯ এন-এএনসি এটিআর-৭২’ মডেলের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটি সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। উড়োজাহাজটি পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় সেতি গন্দকি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটি ওড়ার প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় উড়োজাহাজের যাত্রাপথ ২৫ মিনিটের।

এর আগে সকালে ইয়েতি এয়ারলাইনসের মুখপাত্র সুদর্শন বর্তাউলা জানান, উড়োজাহাজটি ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাচ্ছিল। এ সময় পুরোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি জায়গায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় কেউ বেঁচে রয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া নেপাল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উড়োজাহাজটি টুকরা টুকরা হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আপাতত পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

নেপালের সাংবাদিক দিলীপ থাপা বলেছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। ধ্বংসাবশেষে আগুনের কারণে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ৭২ আরোহীর মধ্যে ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ার, একজন আইরিশ, দুজন কোরিয়ার, একজন আর্জেন্টিনার ও একজন ফরাসি নাগরিক ছিলেন।

এর আগে গত বছরের মে মাসে নেপালে তারা এয়ারের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২২ আরোহীর সবাই নিহত হন। ২২ আরোহীর মধ্যে ১৬ জন নেপালের, ৪ জন ভারতের ও ২ জন জার্মানির নাগরিক ছিলেন।