নোয়াখালীর ঈদবাজারে হাঁকানো হচ্ছে উচ্চ দাম

আকাশ মো. জসিম, নোয়াখালী: নোয়াখালীর মাইজদী, চৌমুহনী ও সোনাপুরের মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা। আর এটাকে সুযোগ হিসাবে নিয়েছেন পৌর শহরের বিপণিবিতানের দোকানিরা। তারা বিভিন্ন পণ্যের উচ্চ দাম হাঁকছেন। ক্রেতারা বাধ্য হচ্ছেন উচ্চদরে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে।
জানা যায়, লোকজনের ভিড় ও সময়ের অভাবে ঈদের একটু আগে থেকেই কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন অনেকে। এদের মধ্যে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারাই বেশি। তাই ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও ঈদের আগে ভাগেই পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। তবে জেলার বিভিন্ন মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে পণ্যের গায়ের স্টিকারে মনগড়া দর লাগিয়ে দাম হাঁকছেন কয়েকগুণ। এতে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এর আগে যে পণ্যের গায়ে ৩০০ টাকা লিখা ছিল সে স্থলে লিখা রয়েছে ৭০০ টাকা। কথা রাখছে না শহরের ৯৯ থেকে ১৯৯ টাকা দামের দোকানগুলোও। সেখানে নামমাত্র কতেক পণ্য উপরোক্ত দামের মধ্যে রেখে বাদবাকিগুলোতে দেদারছে দাম হাঁকার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নোয়াখালী পৌর শহরের বড় বড় মার্কেটগুলোতে যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই। ক্রেতাদের ভিড়ে মার্কেটের দোকানগুলো ঠাসাঠাসি। তবে পুরুষদের তুলনায় নারী ও শিশু ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। এ উপলক্ষে সাধ্যানুযায়ী কেনাকাটা করতে বিভিন্ন এলাকার লোকজনও আসছেন এ শহরে। যানযটের ভোগান্তি নিয়ে কেনাকাটায় অসুবিধা হলেও, নিজের ও প্রিয়জনের জন্য উপহার কেনা শেষে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরছেন সকলে।
জেলার পৌর শহরের নোয়াখালী সুপার মার্কেট, মাওলা শপিং প্লাজা, উত্তরা মার্কেট, বিশাল সেন্টার, টার্গেট, বস্ত্রমেলা, গ্রামীণ ফ্যাশন, মা মণি ফ্যাশনসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটে এলাকা ঘুরে দেখা যায় দোকানে-দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।
তবে এ বছর অনেকে বড় বড় মার্কেটগুলোর দ্বারস্থ না হয়ে হাতের কাছের দোকান-পাটে পছন্দের পণ্য কিনে নিচ্ছেন। অনেক ক্রেতা বলেছেন, যানজটের কবলে অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে স্বস্তি পেতেই তারা হাতের কাছে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। তাছাড়া পণ্যের দাম ও গুণগতমানে আকাশ পাতাল ব্যবধান হচ্ছে বলে মনে করছেন না তারা।