পতনেও ট্যানারি খাতে ক্রয়চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে সূচক কমার মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও এখনও সাড়ে ৮০০ কোটি টাকার ঘরে রয়েছে। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার ক্রয়চাপ বেশি ছিল ট্যানারি খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। সেই সঙ্গে এ খাতে শেয়ারদরে বড় উত্থান হয়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন সেবা ও আবাসন খাতে। ফলে খাতটিতে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ট্যানারি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে, দর কমেছে ২টির এবং ১টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর কমেছে। শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় ছিল বিবিধ খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, বস্ত্র এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়চাপ থাকায় সেবা ও আবাসন খাতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ। এরপর রয়েছে আইটি খাতের শেয়ার। খাতটিতে ১ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৮৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৮৫১ কোটি ৬৯

 লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৯ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক দশমিক ৩৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২০৪ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৪টি এবং কমেছে ৬৭টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২১৭টির।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা শেয়ার। আগের দিন ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৯টি, কমেছে ৩৭টি এবং পরিবর্তন হয়নি ১০৪টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৯ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৮১ দশমিক ৫২ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৭১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৪ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৮ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৭৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৬৯ দশমিক ৮১ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৬৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে।