কাজল সরকার, হবিগঞ্জ: পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আসায় চলতি মৌসুমে হবিগঞ্জে চাল উৎপাদন বেড়েছে ৯৫ হাজার টন। যার দাম ৪০০ কোটি টাকা। চলতি বছর আরও ১৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি চাষাবাদের আওতায় আনা হবে।
হবিগঞ্জ কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় কয়েক হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী থাকে। ২০১৬ সালে ওই জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক গত মৌসুমে কৃষকদের নিয়ে কর্মশালা করা হয়। কর্মশালায় কৃষকদের আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সে মোতাবেক জেলায় ২২ হাজার হেক্টর কৃষি জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হয়। সে সঙ্গে চলতি বছর আরও ৫০০ কৃষককে আউশ আবাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হবে। কৃষকদের আউশ আবাদে সব ধরনের সহযোগিতা করবে জেলা কৃষি অফিস।
এদিকে, পতিত জমি চাষ করে সফলতা পাওয়ায় খুশি কৃষকরাও। তাদের দাবি এখন যদি সরকার তাদের চাষাবাদে আর্থিক সহযোগিতা করে তাহলে এ বছর আরও বেশি করে আউশ আবাদ করবেন তারা। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জের কৃষক আবদুল মজিদ জানান, এ সময় তার অনেক জমি পতিত পড়ে থাকত। গত বছর কৃষি অফিসারের পরামর্শে তিনি ওই জমিতে আউশ আবাদ করেন। এতে ভালো ফলন পেয়েছেন। এখন প্রতি বছরই আউশ আবাদ করবেন তিনি।
নবীগঞ্জের কৃষক হুসেন আলী জানান, তিনি প্রতি বছর বোরো আবাদ করেন। কিন্তু দুই বছর ধরে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারেননি। অতি বর্ষণে বোরো ধান পাকার আগেই তলিয়ে যায়। এ বছর তিনি কিছু জমিতে আউশ আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, বোরো ধানের চেয়ে আউশ ধান আবাদ করে বর্তমানে কৃষকরা সফলতা পেয়েছেন। চলতি বছর আরও ৫০০ কৃষককে আউশ আবাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করার কর্মসূচি গ্রহণ করবে কৃষি বিভাগ। আউশ আবাদের জন্য কেউ খাল খনন বা নদী খনন প্রকল্প দাখিল করলে তাকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।