পদত্যাগ করলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গতকাল  মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক, নার্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জাম পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি নানা অভিযোগ ওঠে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া কভিড সনদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠা জেকেজি হেলথকেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানটির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া, অনুমোদনহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিসও পাঠানো হয়।

অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক অবসরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান ডা. আবুল কালাম আজাদ। প্রথম পর্যায়ে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে আবারও দু’বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

জানা যায়, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজে উদ্যোগী হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নিয়োগ দেন। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে চরম দায়িত্বহীনতা, কর্তব্যে শৈথিল্য, পক্ষপাত এবং নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের পদে রয়েছেন ডা. আজাদ। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তিতে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে ডা. আজাদ  এ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (প্রশাসন) দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৮৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা আবুল কালাম আজাদ ২০০১ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৯০ সালে তৎকালীন আইপিজিএমআর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে এমফিল ডিগ্রি নেন তিনি।

আবুল কালাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের পরিচালক এবং অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) দায়িত্বেও ছিলেন।