পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার। ১৮ কোটি বাঙালির মর্যাদার প্রতীক এই পদ্মা সেতু। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের জিডিপি বছরে ১ দশমিক ২ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতুতে বেপরোয়া গতির কারণে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবকও মারা গেছেন। পদ্মা সেতুতে ভাইরাল হওয়ার জন্য কেউ কেউ সেখানে টিকটক করেছে, কেউ আবার স্টিল ব্যারিয়ারের নাট খুলেছে, কেউ আবার সেতুতে উঠে মূত্র বিসর্জন করে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
দেশের মানুষের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নামানো হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেতুতে নেমে ছবি তোলা বা ভিডিও করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশজুড়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে অপরাধীদের জন্য। এর পরই সেতুতে নামার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে সেতু বিভাগ।
পদ্মা সেতুর ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার জন্য যারা নাট-বল্টু খুলেছে এবং মূত্র বিসর্জন দিয়েছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত। আর ভবিষ্যতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিলেও সেখানে কঠিন শর্ত ও সতর্কতা থাকতে হবে।
ইমাম হোসেন
মীরসরাই, চট্টগ্রাম