পদ্মা সেতু উদ্বোধনে জনসমাবেশ বাতিল এবং দরিদ্রদের খাদ্যসহায়তা দিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আহ্বান


পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনসমাবেশ বাতিল করে সে অর্থ কোরবানি ঈদে দরিদ্র পরিবারদের ঈদ খরচের জন্য বরাদ্দ দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে কোরবানি ঈদে দরিদ্র পরিবারের জন্য খাদ্য সাহায্যের আবেদন জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আহ্বান জানান তিন
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার দেশের দরিদ্র মানুষ কোরবানির ঈদে কোনো ধরনের আনন্দ করতে পারবে না। অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় ঈদের দিনে এসব মানুষের চোখে থাকবে পানি। প্রায় তিন কোটি মানুষ এবার ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। উদ্যোগ নিলে তিন কোটি মানুষকে হয়তো খাবার দেয়া যাবে না, কিন্তু কয়েক লাখ মানুষকে দেয়া যাবে। তাই আমরা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, এবার সারাদেশ থেকে ৫৩ হাজার মানুষ মক্কায় গেছেন হজ করতে। তারা যদি ১০ হাজার টাকা করে দান করেন তাহলে ছয় লাখ পরিবার ঈদের তিনটা দিন ভালোভাবে অতিবাহিত করতে পারবে। এতে আমার মনে হয়, আল্লাহ বেশি খুশি হবেন।
চার সের চাল, আধা কেজি মাংস, আধা লিটার তেল, দুই কেজি আটা, আলু ও লবণ, মরিচ ও গুঁড়া মসলাসহ প্যাকেজ দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের যে খরচ, সেটি কতটা যৌক্তিক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রাখতে চাই। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য যে টাকা খরচ হবে, সেই টাকা এসব গরিব ও অসহায় মানুষের ঈদের খরচের জন্য দিলে সব থেকে বেশি ভালো হবে। এতে ১০ লাখ মানুষের জমায়েতের চেয়ে বেশি প্রচারণা হবে।
এভাবে দেশের বিত্তবান ও ব্যবসায়ীসহ বিকাশ ব্যবহারকারীদের কাছেও সাহায্যের আবেদন জানান তিনি। এই উদ্যোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা নিজের বেতনের পাঁচ শতাংশ অনুদান দিয়েছেন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হয়েছে। কিন্তু ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিতে দরকার আরও দেড় কোটি টাকা। বাকি টাকা তিনি সমাজের নানা স্তরের মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বিজ্ঞপ্তি