সাব্বির হোসেন, পবিপ্রবি: কভিড সংক্রমণ এড়াতে ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও অনলাইনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শিক্ষা কার্যক্রম চলছে অনলাইনভিত্তিক এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রয়েছে আবাসিক হলগুলোও। তবে মূল ক্যাম্পাসে ছয়টি আবাসিক হলের মধ্যে পাঁচটি হলের ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের খাবার নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। খাবারের জন্য ছুটতে হচ্ছে বাইরের হোটেলগুলোয়। কোনো কোনো হোটেল আবার এর সুবিধা নিয়ে খাবার বিক্রি করছে চড়া দামে।
সাধারণত হলের খাবারের চেয়ে বাইরের হোটেলে খাবারের দাম বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভুগতে হচ্ছে অর্থকষ্টে। এতে করে শিক্ষার্থীরা হলের ডাইনিং ক্যান্টিনগুলো দ্রুত খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সেশনের (২০১৭-১৮) শিক্ষার্থী খালিদ হাসান বলেন, ‘যেহেতু এখন অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। কেউ কেউ বাসায় বসে অনলাইনে সংযুক্ত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এছাড়া কদিন আগে এগ্রিকালচার অনুষদের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় দীর্ঘদিন পর অনেকেই বাসায় গেছে। সশরীরে ক্লাস না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকবে। হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম, তাই বলে হল কর্তৃপক্ষের উচিত হয়নি ডাইনিং বন্ধ রাখা।’
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি বলেন, ‘হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হচ্ছে এবং খাবারের জন্য দামও বেশি দিতে হচ্ছে। আমরা চাই হল খোলা থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ডাইনিংগুলোও চালু থাকুক।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রোভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি এবিএম মাহবুব মোর্শেদ খান জানান, ডাইনিং বন্ধ রাখার ব্যাপারে প্রোভোস্ট কাউন্সিলের কোনো নির্দেশনা নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য ডাইনিং চালু রাখা উচিত। তবে কী কারণে বন্ধ রয়েছে তা তিনি নিজেও জানেন না ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক স্বদেশচন্দ্র সামন্ত শেয়ার বিজকে বলেন, ‘কভিডের কারণে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম। এ জন্য ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। এবিষয়ে হল প্রভোস্টদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ডাইনিং চালুর ব্যবস্থা করা হবে।’