পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় হামিদা খাতুন (৩২) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর তার দেহ থেকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করাও হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ভোর রাতে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হামিদা ওই গ্রামের তেজেম মোল্লার স্ত্রী। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তেজেম মোল্লা পলাতক রয়েছে।
নিহতের ভাই হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন ধরে তেজেম মোল্লা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানির পর হামিদা সেটির প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তার তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। তেজেম মোল্লা আমার বোনকে প্রায়ই মারধর করতেন। এরই জেরে মঙ্গলবার ভোররাতে হামিদাকে কুপিয়ে হত্যা করে তেজেম। হত্যার পর তার এক হাত ও দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেও সে। পরে তেজেম আমাকে ফোন দিয়ে হামিদাকে হত্যার কথা স্বীকার করে পালিয়ে যায়। পরে আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানতে পারি এবং পুলিশকে খবর দেই।’
পাবনা সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়ন্তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।