শেয়ার বিজ ডেস্ক: কানাডার অটোয়াতে শেষ হয়েছে প্লাস্টিক দূষণ সংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল নেগোসিয়েশন কমিটির (আইএনসি) চতুর্থ দফার চুক্তি নিয়ে আলোচনা। প্লাস্টিকের উৎপাদন সীমিত করার বিষয়ে আলোচনায় বসেন ১৭৫টি দেশের আলোচকরা। কয়েক দফা আলোচনা সত্ত্বেও প্লাস্টিক সমস্যা অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য অদৃশ্য প্লাস্টককে দায়ী করা হয়। চলতি বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় চূড়ান্ত পর্বের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। খবর: আল জাজিরা।
জীবাশ্ম জ্বালানি ও রাসায়নিক থেকে তৈরি অধিকাংশ প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে পরিবেশ দূষিত হয়। কেননা, প্লাস্টিক জৈব পচনশীল বস্তু নয়। প্লাস্টিক দূষণ রোধে বিশ্বব্যাপী লড়াই চলছে।
এর অংশ হিসেবে ব্রিটেন গত মাসে ঘোষণা করে, প্লাস্টিকযুক্ত ডায়াপার নিষিদ্ধ করার জন্য তারা আইন পাস করবে। প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এই ডায়পারগুলো পরিবেশে ক্ষতিকারক মাইক্রোপ্লাস্টিক ছড়িয়ে দেয়।
সার্বজনীনভাবে এটি স্বীকৃত যে, প্লাস্টিকের ব্যাগ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তবে প্লাস্টিকের ব্যাগ ছাড়াও আমাদের ব্যবহƒত দৈনন্দিন জিনিসপত্র অপ্রত্যাশিতভাবে প্লাস্টিক বা ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে, যা অদৃশ্য প্লাস্টিক নামেও পরিচিত।
কানাডার ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির স্কুল ফর রিসোর্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের প্রফেসর ও সায়েন্টিস্টস কোয়ালিশন ফর অ্যান ইফেক্টিভ প্লাস্টিক ট্রিটির জোটের বিজ্ঞানি টনি ওয়াকার বলেন, অদৃশ্য প্লাস্টিক সবখানে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক উৎপাদনের ফলে আমাদের ব্যবহƒত টেবিলে বা চেয়ারেও প্লাস্টিক রয়েছে।
তিনি বলেন, সব প্লাস্টিক বাদ দেয়ার দরকার নেই। যেগুলো দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি হয় সেগুলো বাদ দিতে হবে। কারণ এগুলো কয়েক দশক ধরে টিকে থাকতে পারে।
তার মতে, প্লাস্টিক রয়েছে এমন যেকোনো একটি জিনিসের ওপর নজর দেয়া উচিত। আমাদের জমিতে অসংখ্য প্লাস্টিক রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম পরিবেশে জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে ফেলে দেয়া মাইক্রোপ্লাস্টিক।
মাইক্রোপ্লাস্টিক হলোÑপ্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা যা আমাদের খাদ্যে প্রবেশ করতে পারে। যেমনÑসাগরে প্লাস্টিক ফেলা হলে তা ভেঙে ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়, যা মাছের মাধ্যমে মানুষের খাদ্যে প্রবেশ করে।
প্লাস্টিক ধারণ করে এমন কিছু দৈনন্দিন জিনিসের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চুইংগাম। চুইংগাম তৈরিতে ব্যবহƒত একটি মূল উপাদান গাম বেস মূলত পলিভিনাইল অ্যাসিটেট নামক একটি প্লাস্টিক, যা জৈব পচনশীল নয়।