নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে আজ রোববারের মধ্যেই সরকারি টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ অন্যান্য পরিষেবা বিল পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় সম্ভাব্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেবে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল রাজধানীর নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে এমন নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা-সংক্রান্ত এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাতদিন আগে এসব বিল পরিশোধ করতে হবে। যেহেতু মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর। সে হিসেবে প্রার্থী হতে হলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে এসব বিল পরিশোধ করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পরিচালক বা ফার্মের অংশীদার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত কোনো ঋণ বা কোনো কিস্তি তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পরিশোধে খেলাপি হলে নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এছাড়া কৃষিকাজের জন্য গৃহীত ক্ষুদ্র কৃষিঋণ ব্যতীত, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখের সাত দিন আগে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত কোনো ঋণ বা তার কোনো কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হলে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সাতদিন আগে সরকারি টেলিফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা অন্য কোনো সেবাপ্রদানকারী সংস্থার বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন।
এদিকে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে ছোটখাটো ভুল থাকলে তা বাতিল না করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল এ-সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে সংস্থাটি।
পরিপত্রে বলা হয়, ছোটখাটো ত্রুটির জন্য কোনো মনোনয়নপত্র বাতিল করা যাবে না। যদি বাছাইয়ের সময় এমন কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি নজরে আসে, যা তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন সম্ভব, তা হলে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীকে দিয়ে তা সংশোধন করিয়ে নিতে হবে।
কোনো প্রার্থীর একটি মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণে ওই প্রার্থীর অন্য কোনো বৈধ মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ শুধু একটি মনোনয়নপত্র বৈধ হলেই তার প্রার্থী পদ অটুট থাকবে।
এছাড়া যদি কোনো প্রার্থী একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তবে বাছাইয়ের সময় একটি মনোনয়নপত্র বৈধ পাওয়া গেলে অন্যগুলো বাছাইয়েরও প্রয়োজন হবে না। মনোনয়নপত্র গ্রহণ অথবা বাতিল প্রসঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত মনোনয়নপত্রের নির্দিষ্ট স্থানে লিখতে হবে। পরিপত্রে আরও বলা হয়, আদেশের ১৪ অনুচ্ছেদের দফা (৩)-এ বলা হয়েছে, শর্ত অনুসারে ভোটার তালিকার কোনো অন্তর্ভুক্তির শুদ্ধতা বা বৈধতার প্রশ্নে কোনো অনুসন্ধান চালানো যাবে না। একই সঙ্গে হলফনামায় উল্লিখিত কোনো তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করা যাবে না।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুসারে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৩০ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ হবে ২৩ ডিসেম্বর।
