পর্দা উঠলো ২৬ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবা (১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এ মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। আগের মতো এবারও মেলায় প্রবেশের টিকেটের দাম শিশুদের জন্য ২০ টাকা আর বড়দের জন্য ৪০ টাকা। এছাড়া এবারই প্রথম দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকছে শাটল সার্ভিস।

এবার মেলায় ২২৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এর আগে ২৫তম বাণিজ্য মেলায় ৫৫৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। এরই মধ্যে ২২৫টি স্টল ও প্যাভিলিয়নের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় যাতায়াতের জন্য ৩০টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মেলায় অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার (প্রায় ১,৫৫,০০০ বর্গফুট) আয়তনের দুটি হলে (হল-এ ও হল-বি) এসব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে (সম্মুখ ও পেছনে) প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে।

এবার মেলায় প্রদর্শন করা হবে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কারপেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ-সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, ষ্টেশনারী, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।

১৯৯৫ সাল থেকে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ হয়ে আসছে। তবে সেখানে স্থায়ী প্যাভিলিয়ন ছিল না। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। পরে ২১ অক্টোবর প্রদর্শনী কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেন্টারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা।