পর্যটকদের জন্য সরকারি নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড সংক্রমণ কমে যাওয়ার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খুলে দিয়েছে সরকার। তবে পর্যটকদের কিছু নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পক্ষ থেকে নির্দেশনা অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে:

১. কোনো ট্যুরের বিপরীতে হোটেল, পরিবহন ও পর্যটন আকর্ষণ স্থানের অনলাইন বুকিং এবং অনলাইনে অর্থ পরিশোধ নিশ্চিত করা।

২. ভ্রমণ করার আগে সাধারণ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন হওয়া ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ সঙ্গে রাখা।

৩. হ্যান্ডশেক ও আলিঙ্গন এড়াতে নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং প্রথা অনুযায়ী শুভেচ্ছা জানানো ও গ্রহণ করা।

৪. ভ্রমণের সময় আসন ব্যবস্থায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. পর্যটনসেবা গ্রহণের আগে সেবা সরবরাহকারী কর্তৃক (হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্থানীয় পরিবহন, ট্যুরিস্ট গাইড, স্যুভেনির শপ, পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান, বিনোদন পার্ক প্রভৃতি) কভিড-১৯ প্রটোকল রক্ষা করা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করা।

৬. যেকোনো লম্বা লাইন, ভিড় ও দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ এড়াতে ট্যুরের সময়সূচি, প্রবেশের টিকিট, সিট, রাইড প্রভৃতি ক্রয় আগেই নিশ্চিত করা।

৭. গ্রুপ সফরের পরিবর্তে ছোট বা পারিবারিক ভ্রমণ করা।

৮. স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা ও ভ্রমণসূচি-বহির্ভূত আয়োজন পরিহার করা।

৯. ট্যুরের আগে অথবা ট্যুরকালীন ট্রাভেল এজেন্ট এবং অন্যান্য সেবা সরবরাহকারীকে পর্যটকের জরুরি যোগাযোগ নম্বর/অবস্থানের ঠিকানা ও অ্যালার্জিজনিত (যদি থাকে) সমস্যাগুলো জানিয়ে রাখা।

১০. সব ধরনের জরুরি ওষুধ, কাগজপত্র/যে কোনো জটিল রোগের রিপোর্ট, পর্যাপ্ত নগদ অর্থ, পোশাক, পড়ার উপকরণ, ইনডোর গেমস, ছাতা/রেইন কোট, উইন্ড ব্রেকার, ক্যাপ/টুপি প্রভৃতি সঙ্গে রাখা।

১১. অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পর্যটকের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ট্যুর ম্যানেজারের কাছে জানিয়ে রাখা এবং ভ্রমণের সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে অনুরোধ করা।

১২. ভ্রমণের সময় মাস্ক, ব্যক্তিগত হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রভৃতি ব্যবহার করা।

১৩. সর্বসাধারণের স্পর্শস্থান, যেমনÑটেবিল, ডোর লক, হ্যান্ডেল, কাউন্টার টেবিল, চেয়ার, চেয়ার-টেবিলের কভার, মুদ্রণ ও প্রচার সামগ্রী, রেলিং, জানালার পর্দা, খাবারের পাত্র প্রভৃতি স্পর্শ না করা বা এড়িয়ে চলা।

১৪. স্থানীয় কভিড-১৯ অপারেশন প্রটোকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং স্থানীয় সেবা প্রদানকারী ও কর্মীদের সহযোগিতা করা।

১৫. যারা করোনার টিকা গ্রহণ করেননি, তাদের পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করা।

১৬. ভ্রমণের ক্ষেত্রে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের না নেয়া।

১৭. অসুস্থবোধ করলে ট্যুর ম্যানেজার/হোটেল/নিকটবর্তী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।

এছাড়া সরকার ঘোষিত অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করেছে ট্যুরিজম বোর্ড।