শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড মহামারির মধ্যে পর্যটক বাড়াতে ডিজিটাল আইডেনটিটি তথা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট (টিকা সনদ) চালু করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ। আগামী ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করার কথা রয়েছে। তবে এর কয়েক সপ্তাহ আগেই এটি চালু করেছে গ্রিস, জার্মানি, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, ক্রোয়েশিয়া ও পোল্যান্ড। মঙ্গলবার থেকে এই সাতটি দেশ টিকা সনদ চালু করল। খবর: রয়টার্স।
যারা কভিড টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন, যারা এরই মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, আর যারা শেষ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্ট করে করোনা নেগেটিভ ফল পেয়েছেন, তাদের এ সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। পর্যটনের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল গ্রিস বেশ কিছুদেন ধরেই এ সার্টিফিকেট চালুর জন্য চাপ দিয়ে আসছিল।
ডিজিটাল ও কাগজÑদুভাবেই এ সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। দেশগুলোর জাতীয় ভাষা ছাড়াও ইংরেজিতে বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে এ সার্টিফিকেট এবং তা ব্লকের সব দেশে গ্রহণযোগ্য হবে।
এ বিষয়ে ইউ হেলথ কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকিডেস বলছেন, ইউরোপের নাগরিকরা আবার আগের মতো ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন এবং তারা সেটা নিরাপদভাবে করতে চান। এর জন্যই ইইউ সার্টিফিকেট থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
গ্রিসের ডিজিটাল গভর্ন্যান্স মন্ত্রী কিরিয়াকস পিয়েরাকাকিস বলছেন, ইউরোপের দেশগুলো নতুন ব্যবস্থা চালু করায় এ ব্লকের দেশগুলোয় সহজে ভ্রমণ সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলছেন, এখন আসলে ইউরোপের দেশগুলো বিচ্ছিন্নভাবে সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করে দিয়ে সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য সার্টিফিকেট ইস্যু করবে। এতে এ প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সহজ হবে। তা না হলে কত দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হতো, তা সহজেই অনুমেয়।
স্টেলা কিরিয়াকিডেস বলছেন, সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপের সব দেশকে এ সার্টিফিকেট ইস্যু, সংরক্ষণ ও যাচাইয়ের জন্য একটা উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যাতে সামনের ছুটির মৌসুমে (গ্রীষ্মকালীন) এটা ভালোভাবে কাজ করে। ইউরোপে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয়, এমন টিকাও নিজেদের তালিকায় যোগ করার ক্ষমতা রয়েছে দেশগুলোর।
ইউরোপীয় কমিশন মনে করে, কভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ১৪ দিন পর থেকে টিকা নেয়া ব্যক্তি যে দেশে ভ্রমণ করুন না কেন, তার করোনা টেস্ট করার বা কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজন নেই। তবে ইউরোপের সব দেশ এখনও এর সঙ্গে একমত নয়।