Print Date & Time : 4 August 2025 Monday 9:28 pm

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়ছে রাশিয়ার ওপর

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের দাবি, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে। দেশটির ক্ষতি বাড়ছে। এ কারণে ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ এগিয়ে নিতে মস্কোর জন্য তার অস্ত্রশস্ত্র পুনরায় সংগ্রহ করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।

অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার বাণিজ্যে প্রভাব পড়েছে। ফলে রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ধ্বংসপ্রাপ্ত অস্ত্র ঠিক করতে বা আরও অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারছে না। ইউক্রেনের অগ্রগতির মুখে মস্কোর বাহিনী সরে আসার কারণে রাশিয়া অনেক অস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক সিএনএন’র ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে বলেন, প্রতিদিনই রাশিয়ার ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। দেশটির বোঝা দিন দিন বেড়ে চলেছে। পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার অর্থনীতি ও তার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে দুর্বল করার জন্য নিষেধাজ্ঞাগুলো আরও কঠোর করার নানা উপায় খুঁজছে।

রাশিয়া ইউক্রেনের জনগণের মনোবল দুর্বল করার জন্য বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহব্যবস্থা লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় বিমান হামলা চালিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ব্লিংকেন বলেন, তারা শীতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে। এটা সত্যিই বর্বরোচিত।

এদিকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, এ যুদ্ধের প্রতি রাশিয়ার জনগণের সমর্থন কমে যাচ্ছে।

রাশিয়ার জ্বালানি প্রধান ও উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, পশিমাদের বেধে দেয়া দামে মস্কো কোনো তেল বিক্রি করবে না। প্রয়োজনে উৎপাদন কমানো হবে। নোভাক শিল্পোন্নত দেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার আরোপিত ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলার দাম নির্ধারণকে বিশ্ব বাণিজ্যে একটি গুরুতর হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

প্রসঙ্গত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অন্যান্য দেশ বড় পরিসরে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইউরোপীয় কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বাদ দেয়া হয় এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ভেটো দানের ক্ষমতা তুলে নেয়া হয়। কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তাদের দেশ থেকে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার কোনো রাজনীতিক ও আলিগার্ক যাতে প্রবেশ করতে না পারেন বা ট্রানজিটের জন্য অবস্থান করতে না পারেন, সে জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।