উত্তরায় গার্ডারচাপায় মৃত্যু

পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রিট আবেদনে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে এক পরিবারের পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্প এলাকায় পাঁচ বছর ধরে জনগণের নিরাপত্তায় বিআরটি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ৬০ দিনের মধ্যে আদালতকে দিতে বলা হয়েছে।

গত সোমবার উত্তরায় জসীমউদ্দীন সড়কে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ চলার মধ্যে একটি গার্ডার ক্রেন দিয়ে তোলার সময় তা পড়ে একটি প্রাইভেট কারের ওপর। তাতে গাড়িটির পাঁচ আরোহী নিহত হন। ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে দুদিন পর গতকাল সকালে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খান। এরপরই আদালতের রুল হয়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সচিব, বিআরটি কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনা গ্যাঝুবা গ্রুপ লিমিটেডের সন্বয়ককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। আদেশের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিহতদের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি বিআরটির চলমান প্রজেক্টে গত ৫ বছরে জনগণের নিরাপত্তায় কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ঘটনায় এরই মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ একটি তদন্ত

কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঠিকাদারি কর্তৃপক্ষের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে।

নিহতদের পরিবার উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলাও করেছে। চীনা ঠিকাদার কোম্পানি, ক্রেনচালক এবং প্রকল্পের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলায় এই প্রাণহানি হয়েছে বলে সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।