Print Date & Time : 13 August 2025 Wednesday 11:07 pm

পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিন্মে জার্মানির প্রবৃদ্ধি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ২০১৮ সালে জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ। ২০১৩ সালের পর এটিই সর্বনিন্ম প্রবৃদ্ধি। মূলত তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধিতে ধস এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী চলা বাণিজ্য বিবাদের প্রভাব পড়েছে দেশটির প্রবৃদ্ধিতে। খবর: বিবিসি।
২০১৭ সালে জার্মানির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল দুই দশমিক দুই শতাংশ। বছরের শুরুর দিকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল ২০১৮ সালে প্রবৃদ্ধি হবে এক দশমিক আট শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মাত্র দশমিক দুই শতাংশ, যা সার্বিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে ধসের পর আশঙ্কা করা হচ্ছিল আরও একটি প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কমবে, যা দেশটিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
জার্মানির পরিসংখ্যান অফিস এখনও চতুর্থ প্রান্তিকের চূড়ান্ত প্রবৃদ্ধির হিসাব প্রকাশ করেনি। তবে অর্থনৈতিক উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রাথমিক ফলাফলে মনে করা হচ্ছে, বছরের শেষ প্রান্তিকে জার্মানির প্রবৃদ্ধি হবে দশমিক দুই শতাংশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তা, চীনের অর্থনীতির দুর্বল অবস্থান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাবই জার্মানির প্রবৃদ্ধি হ্রাসের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা থাকায় এখনই জার্মানিতে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি নেই বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক ভালোভাবে পার করলেও তৃতীয় প্রান্তিকে জার্মানির অর্থনীতি দশমিক দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। গাড়ি নির্মাণশিল্পে নির্গমনের মাত্রা নতুন করে নির্ধারণ করে দেওয়ায় উৎপাদন কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। বিশেষজ্ঞরা যদিও আশা করেছিলেন, শেষ প্রান্তিকে অর্থনীতিতে একটি গতি আসবে। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু চতুর্থ প্রান্তিকেও দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্ব বাণিজ্যের সংঘাত ও সংরক্ষণবাদ নীতি দেশটির অন্যতম প্রধান রফতানি খাত গাড়ি নির্মাণশিল্পে আংশিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত ভোটাভুটির জটিলতায় যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ না করে, তবে এ সংকট তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছে জার্মান অর্থ মন্ত্রণালয়। এসব সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই চলতি বছরের জন্য দেশটির সরকার আয়কর কমানোসহ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। তবে সার্বিকভাবে জার্মানি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বলেই ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, সংকটপূর্ণ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জার্মান অর্থনীতি ভালো ফল করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।