পাঁচ রাষ্ট্রপ্রধানের আগমন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থার প্রতিফলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে পাঁচ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের অংশ নেয়া প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বাংলাদেশে আসছেন। এই সফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন। সে কারণেই তারা বাংলাদেশ সফরে আসছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ থেকে ২৭ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে যোগ দিতে ১৭ মার্চ আসছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহেন্দ্র রাজাপাকসে আসবেন ১৯ মার্চ। নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী আসবেন ২২ মার্চ। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং আসবেন ২৪ মার্চ। ২৬ মার্চ আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারা প্রত্যেকেই দুদিন করে ঢাকায় অবস্থান করবেন।

বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভিডিওবার্তা পাঠাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কানাডা, ফ্রান্স, জাপান ও চীনের সরকারপ্রধান। আরও বিভিন্ন দেশ থেকে ভিডিওবার্তা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ড. মোমেন জানান, যেসব দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা আসছেন, তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে নানা চুক্তি সই হবে। তবে কোন দেশের সঙ্গে কী চুক্তি স্বাক্ষর হবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। এ নিয়ে কাজ চলছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ১৭ থেকে ২৭ মার্চ রাজধানীতে চলাফেরায় সাময়িকভাবে অসুবিধা হতে পারে। তবে বেশি অসুবিধা যেন না হয়, সেজন্য সরকারি ছুটির মধ্যেই আমরা বেশি ইভেন্ট রেখেছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিফ অব প্রটোকল আমানুল হক।