প্রতিনিধি, পাবনা: পাবনায় ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ পাট করপোরেশনের (বিজেএমসি) কাছে ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত পাওনা রয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা। এ অর্থ দ্রুত সময়ে পরিশোধের নির্দেশনা প্রদানের দাবিতে গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পাট ব্যবসায়ীরা। তবে জেলা প্রশাসক অফিসে না থাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহেদ পারভেজের কাছে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন তারা।
এ সময় বিভিন্ন উপজেলার ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চাটমোহর উপজেলার আবদুল কুদ্দুস সরকার, সাথিয়া উপজেলার কার্তিক চন্দ্র সাহা, বেড়া উপজেলার মো. আবদুল লতিফসহ আরও অনেকে।
এ সময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলেন, বিজেএমসি নিয়ন্ত্রিত ২৫টি জুট মিলস সরকারি সিদ্ধান্তে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেখানে এতদিন তারা পাট সরবরাহ করে আসছিলেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি নিজে বিগত সরকারের সময় বন্ধকৃত মিলগুলোর মধ্যে পাঁচটি জুট মিল চালু করে পাট শিল্পের উন্নয়নের চাকাকে গতিশীল করেছেন। ফলে খুলনার মৃতপ্রায় শিল্পনগরী খালিশপুরে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে।’
তারা আরও বলেন, তাদের প্রায় তিন হাজার ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীর বিজেএমসির কাছে প্রায় ২৬৪ কোটি এবং বন্ধকৃত আদমজী জুট মিলে প্রায় ১০ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে এই টাকা এখন পাহাড় সমান। এছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংক থেকে মামলা করেছে। এ সময় তারা বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের বিজেএমসি থেকে পাওনা ২৬৪ কোটি টাকা দ্রুত পরিশোধের নির্দেশনা প্রদানের আহ্বান জানান।