পাকিস্তানকে ঋণ দিতে নারাজ আইএমএফ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঋণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থার কাছে ছয় বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলারের আবেদন করেছিল পাকিস্তানের সরকার। খবর: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

পাকিস্তানের অর্থ প্রতিমন্ত্রী আয়েশা পাশার বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, এরপরও পাকিস্তানের সামনে ফের আইএমএফের কাছে ফেরা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। অর্থ ছাড়ের জন্য তাদের কাছে আবার আবেদন করতে হবে।

তবে তার বক্তব্যের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের বক্তব্যে কোনো মিল নেই। তিনি বলেছিলেন, আইএমএফ ছাড়াও অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।

পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) আয়োজিত এক বৈঠকে বিষয়টি জানান আয়েশা। এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এমএনএ কায়সার শেখ। এ বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের সমালোচনা করেন আলোচকরা।

প্রসঙ্গত, সংসদ অধিবেশনে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকছেন অর্থমন্ত্রী। দুর্দশা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানের। আকাশচুম্বী হয়েছে দ্রব্যমূল্য। গত এক বছরে দেশটির মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এমন পরিস্থিতিতে আইএমএফের ঋণ পাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ইসলামাবাদের সংকট ভয়ংকর অবস্থায় পৌঁছেছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পরিস্থিতিতেও পাকিস্তানের পক্ষে ফের নতুন করে আবেদন করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। সব মিলিয়ে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৬৫০ কোটি ডলার ঋণ প্রাপ্তির জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। এসব শর্ত শিথিল করার আবেদন করেছিল পাকিস্তানের প্রশাসন। কিন্তু তা খারিজ করে ঋণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে আইএমএফ। এদিকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানকে তিন বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই অর্থও পায়নি ইসলামাবাদ।

বার্ষিক মূল্যস্ফীতির তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি পাকিস্তানের। গত মে মাসে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জর শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি ছিল ২৫ দশমিক ২ শতাংশে। সেখানে পাকিস্তান পৌঁছে গেছে ৩৭ দশমিক ৯৭ শতাংশে।