শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে বেইল আউট বা সুদবিহীন ঋণ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সুদবিহীন ঋণ ও সহজে আর্থিক সহায়তা দিতে সৌদি আরবের অপরাগতা প্রকাশের বিষয়টি পাকিস্তান সরকারের জন্য বড় একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর: মিডল ইস্ট আই।
এরই মধ্যে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানে যখন অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা চলছে, তখন বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও তাদের সহায়তা করছে না।
আন্তর্জাতিক ঋণদাতারা পাকিস্তানের কাছে প্রায় ৮০ বিলিয়ন (৮ হাজার কোটি) ডলার পাবে, যা আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে। এ সময়ে দেশটির দরকার ডলার। অন্যথায় দেশটির নাম ঋণ খেলাপির তালিকায় উঠবে। বর্তমানে পাকিস্তানের বৈদেশিক রিজার্ভ ৩ বিলিয়ন ডলারের কম রয়েছে।
চলমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। কিন্তু এ ঋণ বিতরণটি থমকে রয়েছে। আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ না পেলে অন্য দেশের কাছ থেকেও সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি ঝুলে যাবে।
সৌদি আরব পাকিস্তানকে শর্ত দিয়েছে, ঋণ পাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক অবকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। একই রকম শর্ত দিয়েছিল আইএমএফও।
সৌদি আরবের কিং ফয়সাল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিসের সহকারী ফেলো উমর করিম বলেছেন, পাকিস্তান সরকার সৌদির সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছে। আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রীর ফোনেই গালফ দেশগুলো আর্থিক সহায়তা দিত। কিন্তু এবার পাকিস্তানকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
ধারণা করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে কথা বলতে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কিন্তু পাক সেনাপ্রধান ক্রাউন প্রিন্সকে বোঝাতে ব্যর্থ হন।
ঋণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরব তাদের নীতি পরিবর্তন করেছে। গত জানুয়ারিতে সৌদি অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান জানান, আমরা অতীতে সহজে ঋণ সহায়তা দিয়েছি। কিন্তু এ নীতি পরিবর্তন করা হবে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ ফেলো কামাল আলম বলেছেন, সৌদি আরবের নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি পাকিস্তানের মাথায় নেয়া উচিত।