পাকিস্তানের নারী বিচারপতি হচ্ছেন আয়েশা মালিক

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবারের একজন নারী বিচারপতি নিয়োগ পাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার দেশটির জুডিশিয়াল কমিশন (জেসিপি) আয়েশা মালিককে বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর ৫৫ বছর বয়সী আয়েশা মালিক প্রথম নারী হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগ পাচ্ছেন। খবর: ডন, রয়টার্স।

পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সংসদ সদস্য এবং আইন-সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি কমিটির সম্পাদক মালিকা বোখারি এক টুইট বার্তায় বলেন, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে একজন মেধাবী ও খ্যাতিমান বিচারক নিয়োগ পাচ্ছেন, যা আমাদের দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় মুহূর্ত।

তবে সর্বোচ্চ আদালতে নারী বিচারপতি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েও মতভেদ রয়েছে দেশটিতে। ৯ সদস্যের ওই কমিশনই গত বছর বিচারক হিসেবে আয়েশার নিয়োগ ঠেকায়। গত বৃহস্পতিবার ভোটাভুটিতেও তাদের চারজন আয়েশা মালিকের নিয়োগের বিপক্ষে ভোট দেন।

দেশটির অনেক আইনজীবী ও বিচারকও তার নিয়োগের বিরোধিতা করেন। তাদের দাবি, জ্যেষ্ঠতার বিধি লঙ্ঘন করে তাকে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ আছে, নি¤œ আদালতের জ্যেষ্ঠ তিন বিচারকের তালিকায় আয়েশা মালিক ছিলেন না, যেখান থেকে তিনি পদোন্নতি পেয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হয়েছেন।

ইসলামাবাদের আইনজীবী ও অধিকারকর্মী ইমান মাজারি-হাজির বলেন, বিচারপতি হিসেবে আয়েশা মালিকের যোগ্যতা নিয়ে কখনোই কোনো প্রশ্ন ছিল না। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে পাকিস্তানের জুডিশিয়াল কমিশন তাদের এ হঠকারী ও অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য।

আয়েশা মালিকের নিয়োগ নিয়ে অনেকে আন্দোলনেরও হুশিয়ারি দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে নারীদের অধিকার ও নিরাপত্তার ইস্যুতে বিতর্ক রয়েছে দেশটিতে। এর মাঝে সর্বোচ্চ আদালতে নারী বিচারক নিয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। এরই মধ্যে আয়েশা মালিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।