পাকিস্তানের পেট্রোকেমিক্যাল খাতে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে চীন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানের পেট্রোকেমিক্যাল খাতে ১৫ বিলিয়ন (এক হাজার ৫০০ কোটি) ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে পাকিস্তানের বন্দরনগরী গোয়াদার থেকে চীন পর্যন্ত সুদীর্ঘ একটি জ্বালানি পাইপলাইন তৈরির প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত থাকছে। তবে এসব বিনিয়োগ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পের অংশ কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সিপিইসির অধীনে পাকিস্তানে ছয় হাজার কোটি ডলারের বেশি ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছে চীন। খবর: এপিপি, ডেইলি টাইমস।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তানের (এপিপি) সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তান বিনিয়োগ বোর্ডের সচিব ফারিহা মাজহার জানান, দেশটির পেট্রোকেমিক্যাল খাতে দেড় হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত চীনের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।

তিনি জানান, পাকিস্তানে চীনা বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চলছে। চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো পাকিস্তানে জ্বালানির পাশাপাশি কৃষি, পর্যটনসহ অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।

চীনের সিপিইসি প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দর। দুই দেশের মধ্যে তেল-গ্যাস সরবরাহ পাইপলাইনের শেকড় ওই বন্দরে। তবে ওই পাইপলাইনটির একটি অংশ পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের ভেতর দিয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে ভারতের।

পাকিস্তান থেকে ১২টি জঙ্গিবিমান কিনছে আর্জেন্টিনা: এদিকে পাকিস্তানের কাছ থেকে ১২টি জেএফ-১৭ থান্ডার জঙ্গিবিমান কিনতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। এগুলো কিনতে ২০২২ সালের খসড়া বাজেটে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রস্তাবিত এ বাজেট দেশটির পার্লামেন্টে তোলা হয়েছে। যদিও আর্জেন্টিনা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেনি, তবে পাকিস্তান থেকে জঙ্গিবিমান কিনতে দেশটির আগ্রহের বিষয়টি স্পষ্ট।

উল্লেখ্য, জেএফ-১৭ থান্ডার হচ্ছে চীন ও পাকিস্তানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি এক ইঞ্জিনের মাল্টি রোল যুদ্ধবিমান। এ বিমান ইন্টারসেপশন, গ্রাউন্ড অ্যাটাক, জাহাজে হামলা ও নজরদারির কাজে ব্যবহার করা যায়। এর শতকরা ৪২ ভাগ চীনে তৈরি আর বাকিটা পাকিস্তানে। তবে চূড়ান্তভাবে অ্যাসেম্বলির কাজ করা হয় পাকিস্তানে।

গত কয়েক বছর ধরে আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে জঙ্গিবিমান কেনার জন্য চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু অর্থের ঘাটতি কিংবা যুক্তরাজ্যের আপত্তির কারণে এসব চেষ্টা বিফলে যায়। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে জঙ্গিবিমান কেনার প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছিল যুক্তরাজ্য।