শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। গত জুন থেকে এ পর্যন্ত বন?্যায় ৯১৩ জন মারা গেছেন। খবর: জিও নিউজ।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৭৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সময়ে ৮২ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ৭১০টি গবাদিপশু মারা গেছে।
এনডিএমএ বলছে, ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এ বছর দেশটিতে ৪০০ জন মারা গেছে, যাদের মধ্যে ১৯১ জন নারী। আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষ। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শেরি রহমান বলেন, চলতি মাসে দেশটিতে গড়ে ১৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বিদেশে সরকারি সফর স্থগিত করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেশটিকে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে। পাকিস্তানেও অতিবৃষ্টি ও বন্যা হয়েছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলছে, দেশটির বেলুচিস্তান, সিন্ধু, পাঞ্জাব (দক্ষিণ) ও খাইবার প্রদেশের বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বসতবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছ। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সিন্ধু প্রদেশে। সেখানে স্বাভাবিকের চয়ে ৭৮৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা খুবই আশঙ্কাজনক। এ প্রদেশের ২৩টি জেলাকে দুর্যোগপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বেলুচিস্তানে প্রদেশে ২৩৪ জন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১৮৫ জন ও পাঞ্জাবে ১৬৫ জন মারা গেছে। এছাড়া আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭ এবং গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় ইসলামাবাদেও একজনের মৃত্যু হয়।
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী, এনডিএমএসহ প্রাদেশিক সরকারগুলো উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে। দুর্যোগে প্রায় তিন কোটি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিভিন্ন প্রদেশের সেতু এবং যোগাযোগ অবকাঠামো ভেসে গেছে।
