শেয়ার বিজ ডেস্ক: এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নানা টালবাহানার পর গতকাল শপথ নিয়েছেন সদ্যগঠিত সেই মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন পাঁচ নারী। একে পাকিস্তানের প্রশাসনিক স্তরে বিরাট পরিবর্তন বলেই মনে করা হচ্ছে। খবর: ডন।
শাহবাজের নতুন মন্ত্রিসভায় রয়েছেন শেরি রেহমান, হিনা রব্বানি খার, সাজিয়া মারি, মরিয়ম আওরঙ্গজেব ও আয়েশা গাউস পাশা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রিসভায় নারীরা তেমন গুরুত্ব পাননি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান তথা বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টো শরিফের এই মন্ত্রিসভায় আপাতত কোনো পদ পাননি। তবে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোয় গুঞ্জন রয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন বিলাওয়াল। শাহবাজ আপাতত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজেই সামলাচ্ছেন। এ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিপিপি নেত্রী হিনা রব্বানি খারকে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভবিষ্যতে হিনার দলের চেয়ারম্যান অর্থাৎ বিলাওয়ালকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করতে পারেন শাহবাজ।
যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত শেরি রেহমানকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন শাহবাজ। ইমরান খানের আমলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তার দলের জারতাজ গুল। কিন্তু কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ ছিল। পরিবেশসংক্রান্ত নানা বিতর্কিত কথা বলে সংবাদ শিরোনামে ছিলেন গুল। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, কখনও পরিবেশকে গুরুত্ব দিতে চাননি তিনি। তবে শেরির কর্মদক্ষতা প্রশংসা কুড়িয়েছিল বিরোধী দলগুলোর কাছেও।
পিএমএল-এন নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবকে তথ্যমন্ত্রীর পদ দেয়া হয়েছে। স্পষ্টবাদী মরিয়মও নিজের কাজ ভালোই সামলাতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় অন্য দুই নারী সদস্য হলেন পিপিপি-এর নেত্রী সাজিয়া মারি ও পিএমএল-এনের আয়েশা গাউস পাশা। তারা দু’জনেই প্রথম বারের মতো মন্ত্রী হলেন। সাজিয়াকে বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রামের (বিআইএসপি) মন্ত্রণালয ও আয়েশাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই পাঁচ নারীর গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রাপ্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে এই মুহূর্তে পাকিস্তানে প্রচারের বেশিরভাগ আলো কেড়ে নিচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
