শেয়ার বিজ ডেস্ক: এর আগে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে ১১ সদস্যের টাস্কফোর্সের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার এজন্য সহায়তা দিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অন্যান্য উপায়ে দেশ থেকে পাচার হওয়া কোটি কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে শিগগিরই বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বর্তমানে সংসদ না থাকায় আইনটি কীভাবে প্রণয়ন করা হবে, তা জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, একটি নির্ধারিত পদ্ধতি হিসেবে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি করা হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো মূল্যে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে চায়। সরকার ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ আইন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে এবং প্রক্রিয়াটি সহজতর করার জন্য ৩০টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে পারে।
অর্থ চুরির বিষয়টিকে মহাসড়ক ডাকাতি বলে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব। তিনি এ অর্থ ফিরিয়ে আনা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলেও জানান।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, গৃহীত পদক্ষেপ ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে প্রধান উপদেষ্টা পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার এজন্য সহায়তা দিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে।
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে অ্যাসেট রিকভারি এজেন্সি
এদিকে ওই সভায় আর্থিকখাতে জালিয়াতি, দুর্নীতিসহ সরকারি চুক্তিতে অনিয়মের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ৭৫ বিলিয়ন থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এসব অর্থ প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকংসহ অন্যান্য ট্যাক্সহেভেন অফশোর দেশগুলোতে পাচার হয়েছে।
এ অর্থ ফেরত আনতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ১১টি কেস নিষ্পত্তি করতে আন্তর্জাতিক ল’ ফার্মস ও ফান্ডারস নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য এক সপ্তাহের মধ্যে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হবে।
এই ১১ কেসের মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপসহ বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নাম রয়েছে।
সভায় উপস্থাপন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে এই ১১টি কেসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সম্পদ ফ্রিজ করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এসব কেসের কমপক্ষে অর্ধেক নিষ্পত্তি করাসহ অ্যাসেট রিকভারি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করবে সরকার।