পানি সংকটে পড়বে ৫০০ কোটি মানুষ: ডব্লিউএমও

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী ৫০০ কোটির বেশি মানুষ পানি সংকটের মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে জাতিসংঘ। এ জন্য নভেম্বরে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে ‘কপ২৬’ বিশ্বনেতাদের এ ব্যাপারে জোরালো প্রদক্ষেপ চায় সংস্থাটি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার  জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা (ডব্লিউএমও) এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানায়। খবর: বিবিসি, ডেইলি সাবা।

বিশ্ব আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা (ডব্লিউএমও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী পানি সম্পর্কিত দুর্যোগ যেমন বন্যা এবং খরার ঝুঁকি বাড়তে শুরু করেছে। পানির সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

‘দ্য স্টেট অব ক্লাইমেট সার্ভিসেস ২০২১: ওয়াটার’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ডব্লিউএমও জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে পানির সংকট তীব্র হতে শুরু করেছে। ২০২৫ সালে এ সংকট আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠবে। ফলে পানি সংকটে পড়তে পারে ৫০০ কোটির বেশি মানুষ।

ডব্লিউএমও’র নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে ২০১৮ সালে বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষ কমপক্ষে এক মাস পানি সংকটে ভুগেছিল।

এ বিষয়ে ডব্লিউএমও’র প্রধান পেটোরি তালাস বলেন, ‘আমাদের এখনই পানির সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে’। ডব্লিউএমও’র প্রধান বলেন, ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক এবং অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন, বৃষ্টির ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন এসেছে। এতে কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে খাদ্য, মানুষের স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য জিনিসে প্রভাব পড়ছে।

সংস্থাটি বলছে, গত ২০ বছর ধরে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত পানির স্তর (পৃষ্ঠতল, তুষার ও বরফ) বছরে এক সেন্টিমিটার হারে হ্রাস পাচেছ। পৃথিবীর মাত্র শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ পানি ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু দিন দিন সেই পরিমাণ কমতে শুরু করেছে।

সংস্থাটি আরও বলছে, গত ২০ বছরে পনি সংম্পর্কিত দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০০ সাল থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। সে সময় থেকে বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগের দুই দশকের তুলনায় ১৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে খরা বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। খরার কারণে আফ্রিকায় বহু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে।

এ জন্য সংস্থাটির প্রধান আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের এ বিষয়ে দ্রুত প্রদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।