প্রতিনিধি, কক্সবাজার: দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে মানুষের দরজায় দরজায় বিভিন্ন সেবা পৌঁছে দিতে ছুটে যাচ্ছে ‘তথ্য আপা’র দল। ফলে সুবিধাবঞ্চিত মানুষ বিনা মূল্যে সহজে সেবা গ্রহণ করতে পারছে। উপজেলায় তথ্যসেবা প্রকল্পটি চালু হওয়ার আগে এসব সেবা পাওয়া ছিল কষ্টসাধ্য, বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে ‘তথ্য আপা’ নামক সেবাটি চালু করে সরকার। মহেশখালী উপজেলায় ২০১৮ সালে তথ্য আপা সেবাটি চালু হয়। উপজেলার বাবুর দিঘির উত্তর পাশে আবুজর গিফারি ম্যানশনে অফিস নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এ সেবার অধীনে নারীদের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনি সহায়তা, ব্যবসায় উন্নয়ন, নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়ানোসহ নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
‘তথ্য আপা’ মহেশখালীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য আপার সেবা সম্পর্কে অবগত করা এবং সেবা নিতে আগ্রহী করে তোলার কাজ করা হয়। এর বাইরে নারীদের নিয়ে উঠান বৈঠক, আলোচনা এবং সভা-সেমিনারের মাধ্যমে তথ্য আপা সেবার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। প্রতিমাসে দরজায় দরজায় গিয়ে ৬০০ নারীকে এবং অফিসে ১২০ জনের অধিক নারীকে সেবা প্রদান করেন তারা।
সেলিনা আক্তার নামে এক নারী বলেন, তথ্য আপার মাধ্যমে আমরা বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন সেবা নিতে পারছি। ছেলেমেয়েরাও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।
তথ্যসেবা কর্মকর্তা নয়ন বিশ্বাস শেয়ার বিজকে জানান, আমরা চেষ্টা করছি নারীদের তথ্যসেবার মাধ্যমে সেবা দিয়ে আত্মনির্ভরশীল ও নারী অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলার। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হয়েছে। তবে এখানকার খুব কম নারীই আমাদের অফিসে সেবা নিতে আসেন। এ পর্যন্ত ১২ হাজার নারীকে সেবার আওতায় আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
শিক্ষক ও সমাজকর্মী সরওয়ার আলম জানান, তথ্য আপা সেবা সম্পর্কে অবগত নন মহেশখালীর অনেক নারী শিক্ষার্থী। প্রতিদিন তথ্য আপা অফিসের সামনেই কম্পিউটারের দোকানে অনলাইনে সেবা নিতে নারী শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। এসব শিক্ষার্থীর তথ্য আপার সেবা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানানো হলে সেবার মান ও চাহিদা দুটোই বাড়বে। একই সঙ্গে উপকৃত হবে গরিব শিক্ষার্থীরা।