Print Date & Time : 5 July 2025 Saturday 11:44 am

পুঁজিবাজারে সংস্কারের ফুটপ্রিন্ট রাখতে চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে সংস্কারের কাজ চলছে। আমরা সংস্কারের মাধ্যমে ফুটপ্রিন্ট রেখে যেতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সংস্কারে কাজ চলছে। আমরা সংস্কারের মাধ্যমে ফুটপ্রিন্ট রেখে যেতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা মিউচুয়াল ফান্ড, আইপিও এবং মার্জিন রুলস প্রণয়নের কাজ করছি। আইন প্রণয়নের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারলে, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সংস্কার হয়ে যাবে।’
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী, অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিডিবিএল চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী ও এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘বিএসইসির কাজ রেগুলেট করা। বাজারের সূচক উঠানো-নামানো আমাদের কাজ নয়। বাজারের উন্নয়নে পলিসি তৈরি করা এবং বাজারে তা কাজ করছে কিনা তা মনিটরিং করা আমাদের কাজ।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে কীভাবে আমরা পিছিয়েছি, সেটা সবাই জানেন। শেয়ারবাজারে ১০ কোটি টাকার মূলধনের কোম্পানি ২৭৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। আমাদের চেষ্টা ও ইচ্ছার অভাব নেই। বর্তমানে কোথায় আছি, আগামীতে কী কী করা দরকার; সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ জন্য প্রত্যেকটি বাজার সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করেছি। পুঁজিবাজার সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের গভর্নেন্স সংক্রান্ত রিপোর্ট এ সপ্তাহে আমরা হাতে পেয়েছি। গভর্নেন্স শক্তিশালী করতে পারলে শেয়ারবাজার আরও শক্তিশালী হবে। আমরা একটা ভগ্ন প্রক্রিয়ার ইকোনমি থেকে ওঠে দাঁড়াচ্ছি। গত ৯ মাসে আমাদের কান্ডারিরা এই জাহাজ যে ঘুরিয়ে আনতে পেরেছে সেটি প্রশংসনীয়।’
বাজেট প্রসঙ্গে রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘বাজেটে পুঁজিবাজারের অনেক ফোকাস করা হয়েছে। তবে সব কিছু আসেনি।’
মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের স্তম্ভ মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আমাদের বাজারে তার প্রভাব খুবই কম। আমরা জানি দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কী অবস্থা? কীভাবে কী হয়েছে, কারা করেছে? তাই আগামী দিনে মিউচ্যুয়াল ফান্ড রুলস কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, টাস্কফোর্সের মতামতের ভিত্তিতে কাজ চলছে।’
নেগেটিভ ইক্যুইটি প্রসঙ্গে তিন বলেন, ‘মার্জিন ঋণ থেকে নেগেটিভ ইক্যুইটি তৈরি হয়েছে। এটা শেয়ারবাজারের ক?্যানসার। এর সমাধানের বিকল্প নেই।’
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ আরও বলেন, ‘সরকারের প্রধান অঙ্গীকার জবাবদিহিতা। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির যৌথ টাস্কফোর্স করতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এ যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। তারা কোম্পানিগুলোকে ব্যাংকমুখী থেকে ফিরিয়ে পুঁজিবাজারমুখী করতে কাজ করবে। এটা শুধু বিএসইসি কাজ নয়। এই বাজারের জন্য চারটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনেক কিছু করার আছে। এখানে আইডিআরএ ও এফআরসি বাজারের বড় একটি অংশ।’