পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত

সাইফুজ্জামান সুমন : টানা পতনের পর গতকাল বাজার কিছুটা উত্থানে ফিরেছে। সূচকের উত্থান প্রবণতা আগের দিনের চেয়ে বেগবান হয়েছে। গত দুদিনে সূচক বেড়েছে ১২৩ পয়েন্ট। এই উত্থান প্রবণতা বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল  বুধবার  শুরু থেকেই উভয় বাজারে অধিকাংশ শেয়ারদর ও লেনদেন বাড়তে থাকে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়ার কারণে ডিএসইর সূচকে শেষ পর্যন্ত যোগ হয় ৭৬ পয়েন্ট। গতকালের উত্থানের ধারাকে, বাজার শক্ত অবস্থানে যাওয়ার জন্য সামনের দিকে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা। গত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬০৬.৪১ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১০ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৭.৭১ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৫৪ দশমিক ১২ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৬৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬০৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট; যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৫৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬৯টির বা ৭৬০ দশমিক ৯৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৭৮টির বা ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশের এবং ৩২টি বা ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২২৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৫৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১৭৫টির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দর। গতকাল সিএসইতে ৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।