Print Date & Time : 4 August 2025 Monday 5:42 pm

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: হঠাৎ করেই পুঁজিবাজারের লেনদেন চিত্রে পরিবর্তন এসেছে। সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সূচক। পাশাপাশি লেনদেনেও সন্তোষজনক চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিনই ফ্লোর প্রাইসের ওপরে লেনদেন হচ্ছে ১০০ বেশি কোম্পানির। একই সঙ্গে বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ। সব মিলে বাজার স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে এমনটি ভাবছেন বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বাজারসংশ্লিষ্ট সবাই।

সাম্প্রতিক বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সূচক প্রতিদিনই বাড়ছে। গতকালও ঢাকার পুঁজিবাজারে (ডিএসই) প্রধান সূচক বাড়তে দেখা যায় ১৪ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচকের অবস্থান হয় চার হাজার ১৭১ পয়েন্টে। তবে লেনদেন কিছুটা কমলেও তা ছিল সন্তোষজনক। গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৯৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট কেনাবেচা হয়।

এদিকে গতকাল ব্লক মার্কেটের লেনদেনের দাপট আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৩৪টি কোম্পানি ৩২ কোটি টাকার শেয়ার লেদেন করে। এর মধ্যে সবচেয়ে লেনদেন হতে দেখা যায় ব্রিটিশ-আমেরিকান ট্যোবাকোর। গতকাল ব্লক মার্কেটে এ কোম্পানির ১৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

এদিকে গতকাল খাতভিত্তিক লেনদেনে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল বিমা খাতের। গত কয়েকদিন এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ার কারণে গতকাল এখান থেকে অনেকেই মুনাফা তুলে নিয়েছেন। সাধারণত মুনাফা তোলার দিন সংশ্লিষ্ট খাতের শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। কিন্তু গতকাল বিমা খাতের বেলায় তেমন দেখা যায়নি। ক্রেতাদের চাহিদা থাকার কারণেই লেনদেন শেষে বেড়েছে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতটির অবদান ছিল প্রায় ৩৬ শতাংশ। সারা দিনই এ খাতের শেয়ারে আগ্রহ দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের।

এদিকে আগের দিনের তুলনায় বিমা খাতের শেয়ারের চাহিদা বেশি থাকায় গতকাল কমে গেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার চাহিদা। তারপরও লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল খাতটি। তবে লেনদেনে অংশগ্রহণ আগের চেয়ে কমে যেতে দেখা যায়। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতটির অবদান ছিল ১৪ শতাংশের কম। এর পরের অবস্থানে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতটিতেই গতকাল বিনিয়োগকারীদের সন্তোষজনক উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। গতকালের লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১৩ শতাংশের কাছাকাছি।

অন্যদিকে সম্প্রতি আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে ব্যাংক খাতের শেয়ারের চাহিদা। সে কারণে লেনদেনেও এ খাতের অবদান দিন দিন কমছে। গতকাল লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল দুই শতাংশের কম। এ খাতে লেনদেন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ফ্লোর প্রাইসে দর আটকে যাওয়া। বিনিয়োগকারীরা অন্য খাতের শেয়ার ফ্লোর পাইসের বেশি দরে কিনতে চাইলেও ব্যাংকের শেয়ার কিনতে চাচ্ছেন না। ফলে লেনদেনও কমে গেছে।