পুতিনের সঙ্গে আলোচনা চান জেলেনস্কি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সংকট নিরসনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শান্তিপূর্ণ মীমাংসার জন্য পুতিনের সঙ্গে এই আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছেন জেলেনস্কি। একই সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কী চান, তা জানতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। খবর: বিবিসি।

ইউক্রেনে হামলা চালাবে রাশিয়াÑপশ্চিমা দেশগুলোর এই সতর্কবার্তার মধ্যে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জেলেনস্কি এ আগ্রহ দেখান। এই সম্মেলনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সম্মেলনে রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করে কমলা হ্যারিস বলেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন হলে মস্কো ‘চটজলদি ও মারাত্মক’ পরিণতি ভোগ করবে।

জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কী চান, তা আমি জানি না। এ কারণেই আমি একটি বৈঠকের প্রস্তাব করছি।

ন্যাটোয় যোগ দিতে চায় ইউক্রেন। এতে বাদ সাধে রাশিয়া। এ কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাবর্ষণের কারণে ইউক্রেন দনবাসের পূর্বাঞ্চলে থাকা সাতটি চেকপোস্টের একটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে। তাই বিশ্লেষকরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাব নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন।

তাছাড়া ইউক্রেন এর আগেও রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক করার আগ্রহ দেখিয়েছিল, কিন্তু ক্রেমলিন তাতে সাড়া দেয়নি। সংকট প্রশমনে কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে পশ্চিমাদের অভিযোগ থেমে নেই। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, তাদের হাতে থাকা তথ্যপ্রমাণ বলছে, রাশিয়া ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর জনসন এ কথা বলেন।

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়ান করে রেখেছে রাশিয়া। তাদের সঙ্গে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও রয়েছেন। তবে মস্কো বলছে, প্রতিবেশী দেশটিতে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করা সৈন্যরা ওই এলাকাগুলোয় সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন বলে দাবি করেছে তারা।