পুরস্কার জিতে নিল অপরাজিতার ‘রিভোল্ট’

শোবিজ ডেস্ক: কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে দু’দিনব্যাপী হট্টমেলা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২০। এখানে ৩০ মিনিট সময়সীমার স্বল্পদৈর্ঘ্য, অ্যানিমেশন, ভ্রমণমূলক সিনেমা, তথ্যচিত্র, মিউজিক ভিডিও, পরীক্ষামূলক ভিডিও প্রভৃতি অংশগ্রহণ করে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশের অপরাজিতা সংগীতার নির্মিত সিনেমা রিভোল্ট (দ্রোহ)। এতে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে আটটি পুরস্কার জিতে নেয়। উৎসবটির ইন্টারন্যাশনাল এন্ট্রি বিভাগে সেরা সিনেমা ছাড়াও পুরস্কৃত হয়েছেন সিনেমার পরিচালকসহ পুরো টিম। বিচারক ও অতিথি ছিলেন দুই বাংলার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিবর্গ। এ সম্পর্কে পরিচালক অপরাজিতা সংগীতা বলেন, আমার সিনেমা বিদেশে মূল্যায়িত হচ্ছেÑএটা ভীষণ আনন্দের। তবে এ আনন্দ একার নয়, পুরো টিমের। এটি মূলত নারী ও তার কর্মজীবনের বাক-স্বাধীনতাহীন বাস্তবতার গল্প। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর জীবন ও কণ্ঠকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা আছে। নারীর চলার পথ যখন রুদ্ধ করে দেওয়া হয়, নারী হয় বৃত্তবন্দি, তখন বৃত্তটাকে ভেঙে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য এ সিনেমাটি। ক্রিয়েটিভ প্রমোশনসের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে এটি।  তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ শর্টফিল্ম ফোরাম আয়োজিত ১৫তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসব এর মূল পর্বে প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে প্রিমিয়ার হয় সিনেমাটি। এরপর সিনেমাটি দেশ-বিদেশের অনেকগুলো উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। বেশ প্রশংসাও পেয়েছি। অপরাজিতার সিনেমা নির্মাণের হাতেখড়ি পরিচালক তানভীর মোকাম্মেলের কাছে। এছাড়া প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বিভিন্ন জায়গা থেকেও।  আমি মূলত পেশায় একজন স্বাধীন ফটোগ্রাফার। নির্মাতা বা ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজের ক্ষেত্রে নারী বলেই যোগ্যতা প্রমাণের জন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়। আর আমি সেটা আনন্দ নিয়েই করি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে বা রাস্তায় মানববন্ধনের চেয়ে প্রতিবাদের জন্য একমাত্র সিনেমাই যৌক্তিক মাধ্যম বলে মনে করি। তাই ইচ্ছা স্বল্পদৈর্ঘ্যরে পর পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ। এটি আমার দ্বিতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। প্রথমটি পুরুষাতঙ্ক।