প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম শাওন নিহত হওয়ার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-১ এ বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার মামলাটির বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। মামলার বাদী সালাউদ্দিন খান কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
মামলার এজাহারে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবসহ ৯ পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে ৪০-৫০ অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য এবং আরও দু-তিনশ সিভিল পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারী ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে মোট ৩৫৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় মুক্তারপুর পুরোনো ফেরিঘাটের কোল্ড স্টোরেজের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। অতি উৎসাহী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম মিছিলকারীদের হাত থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি-সংবলিত ব্যানার ছিনিয়ে নেন। তিনি পা দিয়ে ব্যানার মাড়াতে থাকেন। তার নির্দেশে অপর আসামিরা নেতা-কর্মীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেটসহ সশস্ত্র আক্রমণ
শুরু করেন।
সে সময় যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন ঘটনাস্থল থেকে চলে যাচ্ছিলেন। পুলিশ শাওনের কপালের ডান দিকে গুলি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাওন মারা যান।