পৃথক রাজ্যের দাবিতে অশান্ত দার্জিলিং

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পৃথক রাজ্যের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে আবারও আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত রোববার দার্জিলিংয়ের অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের নেতা এসপি শর্মা তাদের দলীয় দপ্তরে গান্ধীর ছবির নিচে বসে শুরু করেছেন আমরণ অনশন। খবর: প্রথম আলো।

এসপি শর্মা বলেন, তিনবার লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়বাসী বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তাদের পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি মেনে নেয়া হয়নি। এছাড়া ১১টি জাতিগোষ্ঠীকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি মেনে নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, এবার দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্যকে একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ঘোষণা করতে হবে, কবে তারা তাদের দাবি পূরণ করবেন? তবে সেই দাবি পূরণের সময় ২০২৪ সাল হতে পারবে না, কারণ ওই বছর আবার লোকসভার নির্বাচন হবে।

এদিকে জিএনএলএফ নেতা ও দার্জিলিং জেলা কমিটির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড গোর্খা লিগ নেতা এসপি শর্মার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, তারা গোর্খা লিগ নেতা এসপি শর্মার সঙ্গে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-২-এর নেতা ও কার্যকরী সভাপতি অনিল থাপা বলেন, পাহাড়ের উন্নয়ন দিল্লি করেনি, করেছে বাংলার সরকার। এবার তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাহাড়ের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রতিবছর গোর্খাল্যান্ডের কথা তুলে নির্বাচন হয়। আর নির্বাচনের পর জয়ী প্রার্থীরা ভুলে যান পাহাড়ের দাবির কথা। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে তারা বিমল গুরুং থেকে আলাদা হয়েছেন। তারা আর হিংসাত্মক আন্দোলনে বিশ্বাসী নন। তারা বিশ্বাসী পাহাড়ের উন্নয়নে। তাই এখন তাদের লক্ষ্য হবে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য দৌড়ানো।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১২ জুন পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে শুরু হয়েছিল দার্জিলিংয়ে অনির্দিষ্টকালের বন্ধ্। এ বন্?ধের জেরে অচল হয়ে পড়েছিল দার্জিলিংয়ের জনজীবন। এই বন্?ধ্ তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলে দার্জিলিংয়ে। অবশেষে মমতার হস্তক্ষেপে এই বন্ধ্ প্রত্যাহার করা হলেও মানা হয়নি পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি।

মূলত আশির দশকে এই দার্জিলিংকে পৃথক গোর্খাল্যান্ড করার দাবিতে প্রথম অশান্ত ও উত্তাল হয়েছিল দার্জিলিং। এর নেতৃত্বে ছিলেন জিএনএলএফ নেতা সুভাষ ঘিসিং। ১৯৮০ থেকে এখন দার্জিলিং ২০২১ সালে পা দিয়েছে। তবে পুরোপুরি শান্তি আর ফিরে আসেনি। চলছে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন। এখন অবশ্য জিএনএলএফ শক্তিশালী নয়, শক্তিশালী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুটি অংশই। আছে গোর্খা লিগও।