পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকান সিটিতে যাবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে আগামী শনিবার। খবর এএফপির। ৮৮ বছর বয়সে গত সোমবার মারা যাওয়া ফ্রান্সিসের সঙ্গে মাঝেমধ্যে তিক্ত সম্পর্ক দেখা দিত ট্রাম্পের, তবে সোমবার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি বলেছেন, শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে রোমে যাবেন।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ও বিশ্বজুড়ে ফেডারেল সম্পত্তিতে মার্কিন পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ইস্টার উপলক্ষে হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তিনি কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং বিশ্বকে ভালোবাসতেন।’ ট্রাম্প এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, ‘পোপ ফ্রান্সিস শান্তিতে থাকুন! ঈশ্বর তার এবং তাকে যারা ভালোবাসতেন তাদের সবার মঙ্গল করুন!’ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রয়াত পোপকে ‘তার আগের সবার চেয়ে ভিন্ন’ বলে মন্তব্য করেন। বাইডেন ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী দ্বিতীয় রোমান ক্যাথলিক। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক্স-এ তার ও পোপের একটি ছবিসহ লিখেছেন, ‘পোপ ফ্রান্সিসকে আমাদের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একজন হিসেবে স্মরণ করা হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একজন ক্যাথলিক। তিনি বলেন তিনি ‘দুঃখিত’। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পোপের আত্মার শান্তি ও ক্যাথলিক চার্চের এই পরিবর্তনের সময়ে বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিকদের সঙ্গে প্রার্থনায় একত্র হই।’ শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের কাছ থেকেও বিবৃতি এসেছে, সিনিয়র ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর চাক শুমার প্রয়াত পোপের ‘ভাগ্যবঞ্চিত মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসার’ উদ্ধৃত করে বলেন, ‘তার পোপ পদ অন্ধকারের বিরুদ্ধে আশার আলো হিসেবে স্মরণ করা হবে। আমার প্রার্থনা আজ কোটি কোটি মানুষের জন্য যারা তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়েছেন।’
প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য হ্যাকিম জেফ্রিস বলেছেন, পোপ ‘বিনীতভাবে’ দরিদ্রদের সেবা করেছেন এবং ২০১৫ সালে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ফ্রান্সিসের ভাষণকে ‘বিজয়ী, দ্বিদলীয়’ ঘটনা হিসেবে স্মরণ করেছেন।
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে হেরে যাওয়া সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পোপ ফ্রান্সিসকে প্রশংসা করে বলেন, ‘একজন দূরদর্শী নেতা যিনি সেবা ও ন্যায়বিচারের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।’