Print Date & Time : 27 August 2025 Wednesday 1:48 pm

প্রকল্প সম্প্রসারণ করবে ন্যাশনাল পলিমার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ প্রকল্প সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩৮ লাখ মার্কিন ডলারের মেশিনারিজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানিটি ২৪ ইঞ্চি ডায়া মিটার পিভিসি পাইপ, শিট, দরজা, থ্রেড টেপ ও গৃহস্থালির প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদন করবে। ন্যাশনাল পলিমারের এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে বৈদেশিক ঋণ সুবিধা হিসেবে ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ নেবে। এজন্য কোম্পানিটি বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) থেকে গত ৮ মার্চ একটি অনুমতিপত্র পেয়েছে। নতুন প্রকল্পে কোম্পানিটির বিদ্যমান উৎপাদন ১৯ হাজার ৭০৮ টন থেকে বেড়ে ২৯ হাজার ৫৬২ টন হবে। কোম্পানিটি আশা করছে, নতুন মেশিনারিজের মাধ্যমে আগামী ১ আগস্ট থেকে উৎপাদন শুরু করতে পারবে।

উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি ১৯৯৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে দশমিক ৫২ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৯৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯৭ টাকা ৯০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০১ টাকায় হাতবদল হয়। ওইদিন দুই লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৩টি শেয়ার মোট ৬৩৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ৭০ টাকা থেকে ১১০ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৪৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছিল দুই টাকা ৮৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৫৭ টাকা ৮৬ পয়সা।

২০১৫ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৮ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছিল, যা আগের বছরের সমান। ওই বছর ইপিএস ছিল তিন টাকা ১৮ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৬৪ টাকা ৮৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৯ পয়সা ও ৩৫ টাকা ৯৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় ছিল চার কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল তিন কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৬০ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে চার পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৫ টাকা ৬০ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৯৫ লাখ ৭০ হাজার।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৪৮ পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৮১ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ৫৯ টাকা ৬৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ৫৬ টাকা ১৭ পয়সা ছিল।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ৩৪ দশমিক ১১ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৭ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। মোট দুই কোটি চার লাখ ৩১ হাজার ২৪৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫২ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক আট দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ৩৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।