নিজস্ব প্রতিবেদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাবলিকেশন (গবেষণা প্রবন্ধ) ছাড়া কোনো পদোন্নতি মিলবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা গবেষণার জন্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছি। গবেষণায় আমাদের বাজেট বেড়েছে। যেখানে আমাদের গবেষণার জন্য বাজেট ছিল চার কোটি টাকা, সেটিকে আমরা করেছি ৩২ কোটি। তবে কথা হলো, গবেষণা ছাড়া আমরা কোনো অনুদান দেব না।
গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি গবেষণা হোক। গত বছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ চিকিৎসককে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজ তহবিল থেকে ২৭ কোটি টাকা দিয়েছেন। আশা করছি আগামী দিনে এই অনুদান আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, চিকিৎসকদের গবেষণায় অনুপ্রাণিত করতে আমরা রিসার্চ ডে পালন করি। যারাই রিসার্চ করে, তাদেরই আমরা ফান্ড দিই। ছাত্রদের জন্যও অনুদান থাকে, শিক্ষকদের জন্যও থাকে। দেশের বাইরে যেতে চাইলে গবেষণা পেপার পাবলিশ করতে হবে। পেপার পাবলিশ করতে পারলে আমরা কিছু অনুদানও দিতে পারব।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে উন্নত চিকিৎসায় আমরা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলোÑকোনো রোগী যেন দেশের বাইরে না যায়। আমরাও সেই পথ অনুসরণ করে কাজ করছি। আমরা এরই মধ্যে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করেছি। কিডনি প্রতিস্থাপন ও লিভার প্রতিস্থাপন করেছি। বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট শুরু করছি। টেস্টটিউব বেবি জš§ দিয়েছি। আগামী দিনে আমরা রোবোটিক সার্জারি চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুদানে রোগীদের বিনা মূল্যে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট করে দিচ্ছি, যার প্রতিটির মূল্য একেকটা টয়োটা কারের মতো।
বিদায়ী শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, চলে যাওয়া মানেই এই নয় যে, আপনারা আর আমাদের সঙ্গে নেই। আমরা জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনাদের স্মরণ করব।
উপাচার্য আরও বলেন, আগে আমাদের এভাবে বিদায় সংবর্ধনা হতো না। আমরা করার চেষ্টা করছি। এর আগে অনেক দিন কোনো কনভোকেশন হতো না। আমরা গত বছর একটা কনভোকেশনের আয়োজন করেছি। আগামী মাসে আরেকটা কনভোকেশন করার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে আমরা চিঠি দিয়েছি। তিনি সম্মতি দিলে আমরা আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে দেব।