নিজস্ব প্রতিবেদক:নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে অসঙ্গতি আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে একটি স্বতন্ত্র নিরীক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন নিরীক্ষক বাছাইয়ের জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, কোম্পানিটির গত দশ বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর একটি বিশেষ নিরীক্ষা পরিচালনা করবে নিরীক্ষক এবং চুক্তিতে স্বাক্ষর করার তারিখ থেকে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। কমিশন নিজস্ব তহবিল থেকে এ বিশেষ নিরীক্ষার ব্যয় বহন করবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আর্থিক প্রতিবেদন তদন্তের জন্য কমিশন একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। কারণ বিমা দাবি নিষ্পত্তিতে কোম্পানির ব্যর্থতার বিষয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল।
এ বিষয়ে কমিটি রিপোর্ট করেছে, আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় না। তারা অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ডের অনেক আইন মানেনি। ফলে কোম্পানি এবং এর পরিচালকরা সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মনে হচ্ছে।
কমিটি প্রগ্রেসিভ লাইফের স্থায়ী এবং অন্যান্য সম্পদের অধিগ্রহণে বিশাল অনিয়ম চিহ্নিত করেছে, যা আর্থিক প্রতিবেদনে ভুলভাবে প্রকাশ করা হয়েছে এবং এর নিট সম্পদ মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে; যা বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করছে। এদিকে গত জুলাইয়ে কমিশন পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করেছে।
বার্ষিক সাধারণ সভা করতে এবং টানা দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটিকে এ ক্যাটেগরি থেকে জেড ক্যাটেগরিতে নামিয়ে দিয়েছে। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা গত বছর বলেছিলেন, কোম্পানির হাজার হাজার বিমা পলিসির মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু গ্রাহকরা তাদের দাবির বিপরীতে কোনো টাকা পাননি।
নিরীক্ষায় কোম্পানির ২০১৯ বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রিমিয়াম আয়ে কিছু অস্বচ্ছতা, বিতর্কিত সম্পত্তি কেনা, নেতিবাচক নগদ প্রবাহ এবং বিশাল অদাবি সম্পর্কে বলেছে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান।