সাপ্তাহিক বাজার

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ৩০ দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বিমা খাতের কোম্পানি প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ দশমিক ০৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে সবশেষ কাযদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৫ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬২ টাকা ৩০ পয়সা । দিনজুড়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ১০৯টি শেয়ার ৪৮৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭২ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৬৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘জেড’ ক্যাটেগরিভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানিটি। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১ কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৬। এর মধ্যে ৩৮ দশমিক ৮২ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে এবং বাকি ৫০ দশমিক ৪৩ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা সাত পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ৭২ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। তবে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে ছিল শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৬ শতাংশ। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ০২ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৫টি শেয়ার মোট ৪ হাজার ৬৫১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৫ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ৩১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এদিকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ২২ পয়সা।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ৩১ টাকা ৩৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ১ টাকা।