বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনা থেকে আমরা শেখার চেষ্টা করছি।’ রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে ‘ট্রেড উইথ টিসিবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গতকাল এসব কথা বলেন তিনি।
গত ৫ আগস্টের আগে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে (টিসিবি) ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি ছিলÑউল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘টিসিবির জন্য বরাদ্দ করা ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে চাই। টিসিবি যদি সরাসরি বেশি পণ্য আমদানি করে, তাহলে নিত্যপণ্যের দর অনেক বাড়বে। কারণ এতে ভর্তুকি অনেক বেড়ে যাবে। এ জন্য শিল্পকে কাজে লাগিয়েই আমাদের খাদ্য আমদানি করতে হয়।’
দুর্বৃত্তায়নের প্রভাব মাঠ পর্যায়ে কোনো কাজে আসবে না উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষ দুর্বৃত্তায়নের অবসান করতে চায়। আর আমার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এক কোটি পরিবারকে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে তাদের হাতে পণ্য পৌঁছে দেব। জুন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘৪০ লাখ উপকারভোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে; ৫ তলা বাড়ি আছে তারাও টিসিবির কার্ড নিয়ে বসে আছে। সরকারি কর্মকর্তা পরিবারে তিনটি কার্ড রয়েছে; এসব অযৌক্তিক।’
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘সরকার সিন্ডিকেটকে সাপোর্ট করে না। সার্বিক বাজার ব্যবস্থা দুর্বৃত্তায়ন থেকে বের হয়ে এসেছে। প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনা থেকে আমরা শেখার চেষ্টা করছি।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে টিসিবি, লাভের জন্য নয়। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে টিসিবি একা নয়, তার জন্য সবাইকে সঙ্গে থাকতে হবে। সিন্ডিকেটসহ সবকিছুর মধ্যেই টিসিবি তার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে, আটকানো
যাবে না।’
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়সল আজাদ বলেন, ‘নতুন নীতিমালা অনুযায়ী টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়া হবে। যার জন্য নতুন আবেদনকারী ও পুরোনো ডিলারদের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ডিলারের মাধ্যমে আবারও কাজ শুরু করবে টিসিবি।’
তেলসহ টিসিবির প্রয়োজনীয় পণ্য সরাসরি টিসিবি আমদানি করবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তেলসহ টিসিবির প্রয়োজনীয় পণ্য সরাসরি টিসিবি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংস্থাটি। এক পরিবারে একাধিক কার্ড থাকায় অটোমেটিকভাবে অনেকে বাদ পড়েছে। তবে ফ্যামিলি কার্ডধারী অনেকের পরিচয় নিয়ে জটিলতা আছে, তা জুনের মধ্যে নিরসনে কাজ করছে টিসিবি।’