ডিজেলচালিত ছয় বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় সাড়ে ৫২ টাকা!

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), default quality?

চাহিদা না থাকলেও ২০১৭ সালে জরুরি ভিত্তিতে ছয়টি বড় ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন করে সরকার। এক হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার এসব কেন্দ্র বেশিরভাগ সময়ই বসে থাকত। পাঁচ বছর মেয়াদি এসব উচ্চ ব্যয়ের কেন্দ্রে সরকারের গচ্চা গেছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। এ কেন্দ্রগুলো নিয়ে সম্প্রতি অনুসন্ধান করেছে শেয়ার বিজ। আজ থাকছে এ নিয়ে ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব

ইসমাইল আলী পাঁচ বছরের জন্য ডিজেলভিত্তিক ছয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল ২০১৭ সালে। এক হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্রগুলো পরের বছর উৎপাদন শুরু করে। তবে কোনো কেন্দ্রই সক্ষমতার ২০ শতাংশও চলেনি। এতে বসিয়ে রেখেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় পড়েছে ৩৫ থেকে ৮৫ টাকা।

উচ্চ ব্যয়ের এ কেন্দ্রগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে ডিজেলচালিত কেন্দ্রগুলোর মধ্যে পাঁচটি অবসরে যায় ২০২২-২৩ অর্থবছর। গত অর্থবছর অবসরে যায় প্যারামাউন্ট বিট্র্যাক কেন্দ্রটি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাঁচ বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া এ কেন্দ্রগুলোর সবচেয়ে কম চলেছে ২০১৯-২০ অর্থবছর। করোনার কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় ওই অর্থবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গিয়েছিল। ফলে ডিজেলচালিত ছয়টি কেন্দ্র গড়ে মাত্র এক শতাংশ চলেছে। এতে ওই অর্থবছর ছয়টি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় পড়ে ১৭৩ টাকা ৫৯ পয়সা।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় পড়েছিল ওই অর্থবছর প্যারামাউন্ট বিট্র্যাক কেন্দ্রটিতে। সক্ষমতার এক শতাংশেরও কম চলায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ওই কেন্দ্রে সে বছর ব্যয় পড়ে ৯৬৬ টাকা ৯৩ পয়সা। অন্য কেন্দ্রগুলোর মধ্যে এপিআর এনার্জি কেন্দ্রটিতে ব্যয় পড়ে ৫১৮ টাকা ৫১ পয়সা এবং বাংলা ট্র্যাক (প্রথম ইউনিট) কেন্দ্রে ৫১০ টাকা ৫৬ পয়সা। এছাড়া এগ্রিকোর দুই কেন্দ্রে গড় উৎপাদন ব্যয় পড়েছিল যথাক্রমে ৩৫৯ টাকা ৮৯ পয়সা ও ২৯২ টাকা ৩৬ পয়সা। যদিও বাংলা ট্র্যাক (দ্বিতীয় ইউনিট) কেন্দ্রটির সক্ষমতার ৯ শতাংশ ওই অর্থবছর ব্যবহার হয়। এতে ওই কেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা।

সূত্র জানায়, বাংলাক্যাট গ্রুপের মালিকানাধীন বাংলা ট্র্যাক (প্রথম ইউনিট) ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পাঁচ বছরে সক্ষমতার মাত্র ৯ শতাংশ ব্যবহার হয়। এতে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৫২ কোটি ২২ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ। এ বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ৯৫৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় পড়ে ৫৬ টাকা ৬৭ পয়সা। এর মধ্যে গড় জ্বালানি ব্যয় ছিল ২০ টাকা ৮৬ পয়সা এবং গড় পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ (ওঅ্যান্ডএম) ব্যয় ৩৩ পয়সা। আর গড় ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ৩৫ টাকা ৪৯ পয়সা।
বাংলা ট্র্যাক (প্রথম ইউনিট) ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ২০১৭-১৮ অর্থবছর গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল ৩১ টাকা পাঁচ পয়সা। ২০১৮-১৯ অর্থবছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ টাকা ৪৭ পয়সা ও ২০২০-২১ অর্থবছর ১০৫ টাকা ৭২ পয়সা। ২০১৯-২০ অর্থবছর রেকর্ড (৫১০ টাকা ৫৬ পয়সা) ব্যয়ের পর গড় ব্যয় কমেছে। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছর গড় ব্যয় ছিল ৪২ টাকা ২৮ পয়সা ও ২০২২-২৩ অর্থবছর ৪২ টাকা ৩৩ পয়সা।
ডিজেলচালিত ছয় কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী ছিল বাংলাক্যাট গ্রুপের বাংলা ট্র্যাক ১০০ মেগাওয়াট (দ্বিতীয় ইউনিট) সক্ষমতার কেন্দ্রটি। সক্ষমতার ১৮ শতাংশ ব্যবহার হওয়ায় পাঁচ বছরে এ কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে ৫৪ কোটি ৬২ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এ বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৯৫৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় পড়ে ৩৫ টাকা ৭৮ পয়সা। এর মধ্যে গড় জ্বালানি ব্যয় ছিল ১৮ টাকা ১৭ পয়সা, গড় ওঅ্যান্ডএম ব্যয় ২৮ পয়সা এবং গড় ক্যাপাসিটি চার্জ ১৭ টাকা ৩৩ পয়সা।

১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ কেন্দ্রে ২০১৭-১৮ অর্থবছর গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল ২৫ টাকা ৯৯ পয়সা। ২০১৮-১৯ অর্থবছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ টাকা ৭৫ পয়সা ও ২০১৯-২০ অর্থবছর ৩৯ টাকা ১০ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছর কেন্দ্রটির গড় ব্যয় আবার কমে দাঁড়ায় ৩১ টাকা ৩৮ পয়সা। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছর গড় ব্যয় ছিল ৩৫ টাকা ৮৮ পয়সা ও ২০২২-২৩ অর্থবছর ৪৮ টাকা ৭৪ পয়সা।
পিডিবির তথ্যমতে, ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের ওরাহাটিতে নির্মিত এগ্রিকো এনার্জি সল্যুশন লিমিটেড ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পাঁচ বছরে সক্ষমতার ১৪ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৩৯ কোটি ৪৭ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এ বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৮১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় পড়ে গড়ে ৪৫ টাকা ৮৯ পয়সা। এর মধ্যে গড় জ্বালানি ব্যয় ছিল ২১ টাকা ৫১ পয়সা, গড় ওঅ্যান্ডএম ব্যয় ৪০ পয়সা এবং গড় ক্যাপাসিটি চার্জ ২৩ টাকা ৯৯ পয়সা।
যুক্তরাজ্যের এগ্রিকোর ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ কেন্দ্রটি ছিল ডিজেলচালিত দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ব্যয়ের কেন্দ্র। ২০১৭-১৮ অর্থবছর এ কেন্দ্রের গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল মাত্র ১৬ টাকা ০৯ পয়সা। ২০১৮-১৯ অর্থবছর তা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ টাকা ৪৬ পয়সা ও ২০১৯-২০ অর্থবছর রেকর্ড ২৯২ টাকা ৩৬ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছর কেন্দ্রটির গড় ব্যয় আবার কমে দাঁড়ায় ৬৪ টাকা ১৩ পয়সা। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছর গড় ব্যয় ছিল ৩৩ টাকা ৫৭ পয়সা ও ২০২২-২৩ অর্থবছর ৪০ টাকা ৮০ পয়সা।

ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁওয়ে নির্মিত এগ্রিকো পাওয়ার সল্যুশন ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সক্ষমতার ১২ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচ বছরে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এ বিদ্যুৎ উৎপাদনে মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৬৮৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় গড়ে ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা। এর মধ্যে গড় জ্বালানি ব্যয় ছিল ২১ টাকা ৪২ পয়সা, গড় ওঅ্যান্ডএম ব্যয় ৩৮ পয়সা এবং গড় ক্যাপাসিটি চার্জ ২৭ টাকা ১০ পয়সা।

যুক্তরাজ্যের এগ্রিকোর ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ কেন্দ্রটি ছিল ডিজেলচালিত তৃতীয় সর্বনিম্ন ব্যয়ের কেন্দ্র। ২০১৭-১৮ অর্থবছর এ কেন্দ্রের গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল মাত্র ২৬ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৮-১৯ অর্থবছর তা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫ টাকা ৭৮ পয়সা ও ২০১৯-২০ অর্থবছর রেকর্ড ৩৫৯ টাকা ৮৯ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছর কেন্দ্রটির গড় ব্যয় আবার কমে দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ০১ পয়সা। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছর গড় ব্যয় ছিল ৩৫ টাকা ২০ পয়সা ও ২০২২-২৩ অর্থবছর ৪০ টাকা ৯৩ পয়সা।
এদিকে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে নির্মিত হয়েছিল ডিজেলচালিত সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র এপিআর এনার্জি। ৩০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ কেন্দ্রের মাত্র ৯ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে পাঁচ বছরে উৎপাদন করা হয়েছে ৯২ কোটি ৩৩ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ। এতে মোট ব্যয় হয় চার হাজার ৮৯৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় গড়ে ৫৩ টাকা ০৬ পয়সা। এর মধ্যে গড় জ্বালানি ব্যয় ছিল ২২ টাকা ৫৪ পয়সা, গড় ওঅ্যান্ডএম ব্যয় ৩৩ পয়সা এবং গড় ক্যাপাসিটি চার্জ ৩০ টাকা ২০ পয়সা।

যুক্তরাষ্ট্রের এপিআর এনার্জির ৩০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ কেন্দ্রটিতে ২০১৭-১৮ অর্থবছর গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল মাত্র ১৬ টাকা ২৫ পয়সা। ২০১৮-১৯ অর্থবছর তা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ টাকা ৬৮ পয়সা ও ২০১৯-২০ অর্থবছর রেকর্ড ৫১৮ টাকা ৫১ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছর কেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ব্যয় কমে দাঁড়ায় ৮৮ টাকা ৯০ পয়সা। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছর গড় ব্যয় ছিল ৪১ টাকা ৭১ পয়সা ও ২০২২-২৩ অর্থবছর ৪২ টাকা ১ পয়সা।

অন্যদিকে ডিজেলচালিত ছয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে কম ব্যবহার হয়েছে প্যারামাউন্ট বিট্র্যাক এনার্জির। ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ কেন্দ্রটি পাঁচ বছর মাত্র চার শতাংশ চলেছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৩১ কোটি ৩৯ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এতে মোট ব্যয় হয় দুই হাজার ৬৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় গড়ে ৮৫ টাকা ০৯ পয়সা। এর মধ্যে গড় জ্বালানি ব্যয় ছিল ২৩ টাকা ১২ পয়সা, গড় ওঅ্যান্ডএম ব্যয় ২১ পয়সা এবং গড় ক্যাপাসিটি চার্জ ৬১ টাকা ৭৬ পয়সা।

সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে স্থাপিত এ কেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল ছয় কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। শুরু থেকেই এ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ছিল অনেক বেশি। ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ কেন্দ্রটিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছর গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল ৮১ টাকা ২ পয়সা। ২০১৯-২০ অর্থবছর দেশের সর্বোচ্চ রেকর্ড পর্যায়ে (৯৬৬ টাকা ৯৩ পয়সা) পৌঁছায়। ২০২০-২১ অর্থবছর কেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ব্যয় দাঁড়ায় ১৮০ টাকা ৬৭ পয়সা। পরের দুই বছর উৎপাদন বাড়ায় এ কেন্দ্রে গড় ব্যয় কমে। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছর গড় ব্যয় ছিল ৫৫ টাকা ১৮ পয়সা ও ২০২২-২৩ অর্থবছর ৫৬ টাকা ৩৩ পয়সা। তবে বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছর এ কেন্দ্রে গড়ে ব্যয় হয়েছে ২১১ টাকা ৭৪ পয়সা।

সব মিলিয়ে পাঁচ বছর তথা ৬০ মাস করে চলে ছয়টি ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ পাঁচ বছর সবগুলো কেন্দ্র মিলিয়ে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৩০৪ কোটি ৪৯ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এতে মোট ব্যয় হয় ১৫ হাজার ৯৮০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় গড়ে ৫২ টাকা ৪৮ পয়সা। এর মধ্যে গড় জ্বালানি ব্যয় ছিল ২১ টাকা ২৭ পয়সা, গড় ওঅ্যান্ডএম ব্যয় ৩২ পয়সা এবং গড় ক্যাপাসিটি চার্জ ৩০ টাকা ৯০ পয়সা।

আর পড়ুন (শেষ পর্ব)
৫ বছরে পিডিবির লোকসান ১৪,৩৩৭ কোটি টাকা!

আর পড়ুন (প্রথম পর্ব)
বসিয়ে রেখেই ক্যাপাসিটি চার্জ ৯৪০০ কোটি টাকা!