প্রতি জেলায় নিরাপদ সবজি কর্নার থাকতে হবে

প্রতিনিধি, গাজীপুর: কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, প্রতিটি জেলার যেকোনো বাজারে বা স্থানে অন্তত একটি নিরাপদ বা বিষমুক্ত সবজি কর্নার থাকতে হবে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত বারি-ব্রি-ডিএই-পিকেএসএফ সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, বারি’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) চণ্ডী দাস কুণ্ডু, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর। বারি’র গবেষণা উইংয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বজলুর রহমানের সঞ্চালনায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. আবদুল ওহাব। কর্মশালায় বারি, ব্রি, ডিএই ও পিকেএসএফের পক্ষ থেকে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়।

কর্মশালায় সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘প্রথমে পণ্যের ভ্যালু অ্যাড করতে হবে এবং তারপর তা বাজারে নিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেক জেলায় বাজার বা বাজারের বাইরে নিরাপদ সবজির দোকান থাকতে হবে, যেখানে বিষমুক্ত সবজি পাওয়া যায়। নিরাপদ সবজির সার্টিফিকেট আমরা দেব। অনেক জেলায় এরই মধ্যে বিষমুক্ত সবজির বাজার তৈরি হয়েছে। এতে কৃষকের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও লাভবান হবেন। আমরা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকায় একটি বিষমুক্ত সবজির বাজার স্থাপনের চিন্তা করছি। যেখানে মানুষ নিরাপদ সবজি পাবে। পিকেএসএফের সহযোগিতায় আমরা এটা করতে পারব বলে করি।’

মানসম্মত বীজ উৎপাদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানসম্মত বীজ কৃষকের কাছে পৌঁছানো যাবে না। এর জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি ফসলের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি গ্রাম বা ইউনিয়নে একটা‘বায়ো-ডাইভার্সিটি জোন’ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আজকের

এই কর্মশালার মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পিকেএসএফের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধিত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।