নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। গতকাল মঙ্গলবার পৃথকভাবে এ নিন্দা ও উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এক বিবৃতিতে নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয়ের নিচতলায় কয়েকজন যুবক প্রবেশ করে হট্টগোল করেছেন। সেখানে অবস্থিত অভ্যর্থনা কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মীদের ধমকাচ্ছেন এক যুবক। এরপর ওই যুবককে লাল কালি দিয়ে প্রথম আলোর লোগোর ওপর বারবার ক্রস চিহ্ন আঁকতে দেখা যায়। এ সময় ওই যুবককে প্রথম আলো বয়কট বলতেও শোনা যায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রথম আলোর কোনো লেখায় বা রিপোর্টে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তার প্রতিবাদ জানানোর প্রচলিত পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু এভাবে একটি গণমাধ্যমের কার্যালয়ে গিয়ে এমন আচরণ
সাংবাদিক সমাজকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। প্রথম আলোয় ডিআরইউ’র অনেক সদস্য রয়েছেন। অনেক সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রথম আলোর সাংবাদিক এবং সর্বস্তরের শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানায় ডিআরইউ।
অপরদিকে সাংবাদিকদের সংগঠন বিএফইউজে-ডিইউজের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে। ডিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আমরা বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন। এ ধরনের হামলা সাংবাদিক সমাজকে আতঙ্কিত করে তোলে। প্রথম আলোর কোনো লেখায় বা রিপোর্টে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তার প্রতিবাদ জানানোর প্রচলিত পদ্ধতি রয়েছে। এখানে পেশিশক্তি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানোর পাশাপাশি প্রথম আলোর সাংবাদিক ও সব স্তরের শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।