প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ৬ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬৫ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৫ জানুয়ারি বেলা ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ ডিসেম্বর।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৪ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কপারটেক। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৭ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮ পয়সা।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি। অনুমোদিত মূলধন ৭০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৬৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের ৩০ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে, ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে  এবং ৫৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২০ দশমিক ৭৩ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৮৩ দশমিক ৮৬। এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও একই। দিনজুড়ে ১১টি শেয়ার মাত্র দুবার হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।